শতবর্ষে আধুনিক মালয়েশিয়ার রূপকার মাহাথির মোহাম্মদ

আহমাদুল কবির
আহমাদুল কবির আহমাদুল কবির , মালয়েশিয়া প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১২:১৮ পিএম, ১০ জুলাই ২০২৫
মাহাথির মোহাম্মদ/ফাইল ছবি

মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে ক্ষমতায় থাকা ড. মাহাথির মোহাম্মদ আজ ১০০ বছর পূর্ণ করলেন। দশকের পর দশক ধরে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করে জীবনের এক শতাব্দীতে পৌঁছেছেন এই বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ। নয় ভাইবোনের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ মাহাথির ১৯২৫ সালের ১০ জুলাই কেদাহ আলোর সেটার শহরে জন্মগ্রহণ করেন।

তিনি ১৯৮১ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত বারিসান ন্যাশনাল (বিএন) জোট সরকারের নেতৃত্ব দেন। বিএনকে ক্ষমতাচ্যুত করে ২০১৮ সালের মে মাস থেকে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পাকাতান হারাপান (পিএইচ) প্রশাসনের অধীনে আবারও শীর্ষ পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন।

চতুর্থ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পেট্রোনাস টুইন টাওয়ার, কেএল টাওয়ার, কেএলআইএ এবং পুত্রাজায়ার মতো আইকনিক অবকাঠামো প্রকল্পগুলি সম্পন্ন করার জন্য তিনি মালয়েশিয়ার আধুনিকীকরণের জনক হিসেবে পরিচিত। মাহাথির মালয়েশিয়ার প্রথম গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান প্রোটন হোল্ডিংস বিএইচডি-এর উদ্বোধনের তত্ত্বাবধানে ছিলেন। তিনিই লুক ইস্ট নীতি চালু করেন, যার মাধ্যমে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার মতো দেশগুলোর সঙ্গে মালয়েশিয়ার শিক্ষা ও ব্যবসায়িক সম্পর্কের উন্নতি হয়।

প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার প্রথম মেয়াদে, মাহাথির ‘এশিয়ান টাইগার’ হিসেবে মালয়েশিয়ার অর্থনীতির উত্থানে নেতৃত্ব দেন, অর্থনীতিকে চালিকাশক্তি হিসেবে শিল্পায়নের দিকে ঠেলে দেন।

তিনি অর্থনৈতিক খাতের ব্যাপক বেসরকারীকরণকেও উৎসাহিত করেন, যার মধ্যে তেনাগা ন্যাশনাল বিএইচডি এবং টেলিকম মালয়েশিয়া বিএইচডির মতো সরকারি মালিকানাধীন অনেক কোম্পানি অন্তর্ভুক্ত ছিল।

এশিয়ার আর্থিক সংকট মোকাবিলায় তাকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে দেখা যায়। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের সাহায্য নেওয়ার পরিবর্তে মূলধন নিয়ন্ত্রণ এবং রিঙ্গিতকে মার্কিন ডলারের সাথে সংযুক্ত করার মতো সাহসী পদক্ষেপ নেন তিনি।

বর্তমানে কেদাহ, কেলানটান, তেরেঙ্গানু এবং পার্লিসের পিএএস-নেতৃত্বাধীন রাজ্য সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করা মাহাথিরকে মালয়েশিয়ার এবং বিশ্ব রাজনীতিতে একজন মহারথী হিসেবে দেখা হয়।

ড. মাহাথির মোহাম্মদ এবং ডা. হাসমাহ আলী দম্পতির (৯৮) সাত সন্তান রয়েছে।

এএমএ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।