থাইল্যান্ড সীমান্তে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ড্রোন বিধ্বস্ত
থাইল্যান্ড সীমান্তে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর একটি ড্রোন বিধ্বস্ত হয়েছে। মিয়ানমারের জান্তা সরকারবিরোধী যোদ্ধাদের লক্ষ্য করে এই ‘কামিকাজে ড্রোন’ পাঠিয়েছিল। থাই সেনাবাহিনী এ তথ্য জানিয়েছে।
সোমবার থাইল্যান্ডের তাক প্রদেশের একটি জঙ্গল থেকে ড্রোনটি উদ্ধার করা হয়, যা থাই সীমান্তের ১৫ কিলোমিটার ভেতরে ছিল।
থাই সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়, কোনো বেসামরিক ব্যক্তি হতাহত হননি এবং কোনো সম্পত্তির ক্ষতিও হয়নি। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, ড্রোনটি মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর, যা জান্তাবিরোধী বাহিনীর ওপর হামলার উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়েছিল কিন্তু নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে থাই সীমান্তে এসে পড়ে।
সেনাবাহিনী আরও জানায়, বিস্ফোরকদ্রব্য নিষ্ক্রিয় করার একটি দল ড্রোনটিকে নিরাপদভাবে ধ্বংস করে এবং ঘটনার পর মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের কাছে আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।
২০২১ সালে মিয়ানমারের নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখল করার পর থেকে দেশজুড়ে গৃহযুদ্ধ চলছে। এই সহিংসতার প্রভাব প্রায়ই থাইল্যান্ডের পশ্চিম সীমান্তে এসে পড়ছে।
সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে আসছে জান্তাবিরোধী যোদ্ধা, সাধারণ শরণার্থী ও অর্থনৈতিক অভিবাসীরা, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে।
মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো উভয়ই এখন ড্রোনের ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভর করছে, কারণ এসব ডিভাইস সহজলভ্য, স্বল্পমূল্যের।
একটি গবেষণা সংস্থা জানিয়েছে, ড্রোন ব্যবহারে মিয়ানমার এখন বিশ্বে তৃতীয়, ইউক্রেন ও রাশিয়ার পরেই।
থাইল্যান্ড কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সীমান্ত নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়েছে এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে কূটনৈতিক পর্যায়ে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
সূত্র: এএফপি
এমএসএম