আসাদের পতনের পর সিরিয়ায় প্রথম নির্বাচন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬:০০ পিএম, ০৫ অক্টোবর ২০২৫
আসাদের পতনের পর সিরিয়ায় প্রথম নির্বাচন/ ছবি: এএফপি

আসাদ সরকারের পতনের পর সিরিয়ায় এই প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সংসদ পরিচালনা করতে সদস্য নির্বাচনের জন্য রোববার (৫ অক্টোবর) স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় সিরিয়ার অধিকাংশ প্রদেশে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। নবনির্বাচিত সংসদের মেয়াদ হবে দুই বছর ছয় মাস এবং এ সময়ের মধ্যে দেশটিতে প্রথম সরাসরি জনভিত্তিক সাধারণ নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি নেওয়া হবে।

পিপলস অ্যাসেম্বলি নির্বাচন কমিটির তথ্য অনুযায়ী, এই নির্বাচনে মোট ২১০টি সংসদীয় আসন পূরণ করা হবে। এর মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশ স্থানীয় সংস্থার মাধ্যমে নির্বাচিত হবে এবং এক-তৃতীয়াংশ সরাসরি প্রেসিডেন্টের আদেশে নিয়োগ করা হবে। আসন বণ্টন নির্ধারিত হয়েছে জনসংখ্যা ও সামাজিক প্রতিনিধিত্বের ভিত্তিতে। নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফল সোমবার (৬ অক্টোবর) প্রকাশ করা হবে।

১০ দিনব্যাপী নির্বাচনী প্রচারণা শুক্রবার (৩ অক্টোবর) শেষ হয়। এ নির্বাচনে মোট ১,৫৭৮ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার অনুমোদন পেয়েছে যার মধ্যে ১৪ শতাংশ নারী প্রার্থী। তবে ভোটার তালিকা থেকে আসাদ সরকারের সাবেক ঘনিষ্ঠদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে।

তবে, সিরিয়ার সব প্রদেশে ভোট অনুষ্ঠিত হয়নি। নিরাপত্তা ও যান্ত্রিক জটিলতার কারণে রাক্কা ও হাসাকা প্রদেশের অধিকাংশ এলাকায় ভোট স্থগিত রাখা হয়েছে। এছাড়া সুয়াইদা প্রদেশের সব আসন আপাতত শূন্য থাকবে বলে জানানো হয়েছে।

নির্বাচনের মুখপাত্র নাওয়ার নাজমেহ রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে বলেন, নতুন একটি অস্থায়ী নির্বাচনী কাঠামোর অধীনে ভোটগ্রহণ হচ্ছে। প্রেসিডেন্ট আহমাদ আল-শারা চলতি বছরের শুরুর দিকে এক ডিক্রির মাধ্যমে সংকটকালীন সময়ের জন্য নতুন নিয়ম এবং ১০ সদস্যের জাতীয় নির্বাচন কমিটি গঠন করেন। নতুন কাঠামো অনুযায়ী, কোটার ভিত্ততে সংসদে নারীদের ২০ শতাংশ আসন নির্ধারণ করা হয়েছে।

সূত্র : সিএনএন
কেএম

 

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।