ধ্বংসস্তূপের নিচে প্রিয়জনদের ‘শেষ চিহ্ন’ খুঁজছেন হাজারও ফিলিস্তিনি
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শান্তি প্রস্তাব কার্যকর হওয়ার পর নিজ নিজ বাসস্থানে ফিরতে শুরু করেছেন ফিলিস্তিনিরা। নিজ বাসভূমে ফিরেই ধবংসস্তূপের নিচে চাপা পড়া প্রিয়জনদের ‘শেষ চিহ্ন’ খুঁজতে শুরু করেছে গাজার হাজারো মানুষ। বিগত দুই বছরে ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বতার কারণে এসব ধবংসস্তূপে উদ্ধার অভিযান চালানো সম্ভব হয়নি।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকাজুড়ে ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে অন্তত ১৩৫ ফিলিস্তিনির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার (১০ অক্টোবর) বিভিন্ন এলাকায় উদ্ধার অভিযান চালিয়ে এসব মরদেহ পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে ৪৩টি মরদেহ আনা হয় আল-শিফা হাসপাতালে এবং ৬০টি আল-আহলি আরব হাসপাতালে। বাকি মরদেহগুলো নেওয়া হয় নুসেইরাত, দেইর আল-বালাহ ও খান ইউনুসের বিভিন্ন হাসপাতালে।
এদিকে শুক্রবার (৯ অক্টোবর) যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেও ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ১৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে গাজা সিটির দক্ষিণে গাবাউন পরিবারে ১৬ জন সদস্য রয়েছেন।ওই দিন ভোররাতে গাবাউন পরিবারের ওপর বোমা হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। এছাড়া শেইখ রাদওয়ান এলাকায় একজন এবং খান ইউনুসের কাছে আরও দুজন নিহত হন।
আরও পড়ুন>>
অবশেষে গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহার শুরু করলো ইসরায়েল
২ হাজার ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিলেও বারঘুতিকে ছাড়বে না ইসরায়েল
ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত গাজায় ৬৭ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত এবং প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজার আহত হয়েছেন বলে তথ্য প্রকাশ করেছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। ইউনিসেফের তথ্য মতে, এ যুদ্ধে ২০ হাজারের বেশি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে ৪২ হাজারের বেশি শিশু; যাদের মধ্যে অন্তত ২১ হাজার শিশু স্থায়ীভাবে পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে পড়েছে।
কেএম