বিয়েটা করে ফেলুন, আমরা অপেক্ষায় আছি: রাহুল গান্ধীকে মিষ্টির দোকানি
বিয়েটা করে ফেলুন, আমরা অপেক্ষায় আছি- ভারতের বিরোধীদলীয় নেতা রাহুল গান্ধীকে এমনটিই বললেন দিল্লির এক মিষ্টির দোকানের মালিক। দীপাবলির দিন পুরনো দিল্লির ঐতিহ্যবাহী ‘ঘাণ্টেওয়ালা’ মিষ্টির দোকান পরিদর্শনে গিয়ে এমন পরিস্থিতির মুখে পড়েন রাহুল।
সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দোকানের মালিক সুশান্ত জৈন রাহুল গান্ধীকে ভারতের ‘সবচেয়ে যোগ্য অবিবাহিত’ বলে আখ্যা দেন। তিনি জানান, তিনি (রাহুল) নিজের বাড়ি, বন্ধুবান্ধব ও আত্মীয়দের জন্য মিষ্টি কিনতে এসেছিলেন। আমি বলেছিলাম, ‘স্যার, আপনি তো নিজের দোকানেই এসেছেন, স্বাগতম।’
জৈন আরও বলেন, যখন তিনি এলেন, তখন বললেন- নিজেই মিষ্টি বানাবেন ও খাবেন। আমি বললাম, আপনার বাবা রাজীবজিও ইমারতি খুব পছন্দ করতেন। তখন তিনি ইমারতি বানালেন। পাশাপাশি তিনি বেসনের লাড্ডুও খুব পছন্দ করেন, সেটাও বানালেন।
রাহুল গান্ধীকে উদ্দেশ্য করে জৈন বলেন, সারা ভারতই বলছে, তিনি দেশের সবচেয়ে যোগ্য ব্যাচেলর। আমি তাই বললাম- রাহুলজি, বিয়েটা তাড়াতাড়ি করে ফেলুন, আমরা আপনার বিয়ের মিষ্টির অর্ডারের অপেক্ষায় আছি।
এর আগে দীপাবলির উৎসব উপলক্ষে ঘাণ্টেওয়ালা দোকান পরিদর্শনের ছবি ও অভিজ্ঞতা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) শেয়ার করেন রাহুল গান্ধী। সেখানে তিনি লেখেন, পুরনো দিল্লির ঐতিহাসিক ঘাণ্টেওয়ালা মিষ্টির দোকানে গিয়ে ইমারতি আর বেসনের লাড্ডু বানানোর চেষ্টা করলাম। শতাব্দীপ্রাচীন এই নামকরা দোকানের মিষ্টির স্বাদ আজও অপরিবর্তিত, বিশুদ্ধ, ঐতিহ্যবাহী ও মন ছোঁয়া। দীপাবলির আসল মিষ্টতা থাকে শুধু থালায় নয়, থাকে সম্পর্ক ও সমাজে।
নিজের পোস্টে রাহুল আরও লেখেন, আপনারা সবাই বলুন, কেমন করে দীপাবলি উদ্যাপন করছেন? কীভাবে উৎসবটিকে বিশেষ করে তুলছেন?
ভারতে দীপাবলি পাঁচ দিনের উৎসব। প্রথম দিন ‘ধনতারাস।’ এদিন মানুষ সোনা-রুপা বা বাসনপত্র কেনেন ও দেবতার পূজা দেন। দ্বিতীয় দিন ‘নারক চতুর্দশী’ বা ছোট দীপাবলি। তৃতীয় দিনটি মূল উৎসব, যখন ভগবান গণেশ ও দেবী লক্ষ্মীর পূজা করে ধন-সম্পদের আশীর্বাদ কামনা করা হয়।
চতুর্থ দিন ‘গোবর্ধন পূজা’ ও পঞ্চম দিন ‘ভাই দূজ’। এদিন বোনেরা ভাইয়ের দীর্ঘায়ু ও সুখী জীবনের প্রার্থনা করে কপালে টিকা পরিয়ে দেন, আর ভাইয়েরা বোনকে উপহার দেন।
সূত্র: এনডিটিভি
এসএএইচ