যেসব সমঝোতা চুক্তিতে সই করলো তুরস্ক ও কুয়েত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮:৩৯ পিএম, ২১ অক্টোবর ২০২৫
তুরস্ক ও কুয়েতের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর/ ছবি : আনাদোলু এজেন্সি

দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের উপস্থিতিতে চারটি সমঝোতা চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে কুয়েত ও তুরস্ক। মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোগান কুয়েত সফরে গিয়ে দেশটির আমির শেখ মিশাল আল-সাবাহের সঙ্গে বৈঠকে চারটি গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। কুয়েতের বায়ান প্রাসাদে এসব চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

স্বাক্ষরিত প্রথম চুক্তি হলো সমুদ্র পরিবহন ও নাবিক সনদ স্বীকৃতি চুক্তি, যা তুরস্কের পরিবহন ও অবকাঠামো মন্ত্রণালয় এবং কুয়েতের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সম্পন্ন হয়। এই চুক্তির মাধ্যমে দুই দেশের নাবিকদের প্রশিক্ষণ ও সনদগুলোর পারস্পরিক স্বীকৃতি নিশ্চিত হবে, যা সমুদ্রপথে কর্মরত পেশাজীবীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা প্রদান করবে।

দ্বিতীয় চুক্তি হলো এনার্জি সেক্টরে সহযোগিতা চুক্তি, যা তুরস্কের শক্তি ও প্রাকৃতিক সম্পদ মন্ত্রণালয় এবং কুয়েতের বিদ্যুৎ, পানি ও নবায়নযোগ্য শক্তি মন্ত্রণালয়ের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তিটির লক্ষ্য হলো দুই দেশের এনার্জি সেক্টরে উন্নয়ন, নবায়নযোগ্য শক্তি প্রকল্পে বিনিয়োগ এবং প্রযুক্তি বিনিময়।

তৃতীয়টি হলো প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ উৎসাহ প্রদানের সহযোগিতা চুক্তি। তুরস্কের প্রেসিডেন্সিয়াল ইনভেস্টমেন্ট ও ফাইন্যান্স অফিস এবং কুয়েতের ডাইরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট প্রোমোশন অথরিটি এর মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই চুক্তির মাধ্যমে দুই দেশের ব্যবসায়ীদের জন্য বিনিয়োগ ও কর সুবিধা সম্প্রসারিত হবে এবং দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করা হবে।

স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান, শক্তি ও প্রাকৃতিক সম্পদ মন্ত্রী আলপারস্লান বায়রাকতার, প্রেসিডেন্সিয়াল ইনভেস্টমেন্ট অফিসের প্রধান আহমেদ বুরাক দাগলিওগুলু। কুয়েতের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী শেখ ফাহাদ ইউসুফ সউদ আল-সাবাহ, বিদ্যুৎ, পানি ও নবায়নযোগ্য শক্তি মন্ত্রী সুবেইহ আব্দুলআজিজ আব্দুলমোহসেন আল-মুহাইজেম এবং শেখ মেশাল জাবের আল-আহমাদ আল-সাবাহ।

এরদোগান কুয়েতে পৌঁছানোর সময় আমির শেখ মিশাল তাকে স্বাগত জানান এবং বৈঠকের সময় তিনি তুরস্কের নিজস্ব নির্মিত ইলেকট্রিক কার ‘টগ’ এর একটি মডেল উপহার হিসেবে পান।

তিন দিনের গালফ সফরে প্রথম কুয়েত সফর করেছেন এরদোগান। এরপর তিনি ওমান ও কাতার সফর করবেন। এই সফরের মাধ্যমে তুরস্ক ও গালফ অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি
কেএমএন

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।