গাজায় খাদ্যসংকট এখনো ‘বিপর্যয়কর’ অবস্থায়: জাতিসংঘ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮:৩৫ এএম, ২৪ অক্টোবর ২০২৫
গাজায় ত্রাণের জন্য হুড়োহুড়ি/ ছবি: এএফপি

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার দুই সপ্তাহ পরও গাজায় খাদ্যসংকট মারাত্মক ‘বিপর্যয়কর’ অবস্থায় রয়ে গেছে। এর আগে জাতিসংঘ গাজা শহর ও আশপাশে দুর্ভিক্ষ ঘোষণা করেছিল। তখন বলা হয়েছিল পাঁচ লাখের বেশি মানুষ ‘চরম বিপর্যস্ত’ অবস্থায় আছে। 

দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতির তেমন কোনো উন্নতি হয়নি বলে বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) জাতিসংঘের স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিওএইচও) এমন তথ্য জানিয়েছে বলে সংবাদ প্রকাশ করেছে আল-জাজিরা।

জাতিসংঘ জানিয়েছে, গাজার এক-চতুর্থাংশ মানুষ এখন অনাহারে। খাদ্যসংকটে থাকা মানুষের মধ্যে ১১ হাজারের বেশি গর্ভবতী নারী রয়েছে। নবজাতকদের ৭০ শতাংশই অপুষ্টিতে ভুগছে এবং অপরিণত অবস্থায় জন্ম নিচ্ছে। ইউএনএফপিএ জানিয়েছে, বিদ্যমান এ অপুষ্টির প্রভাব আগামী কয়েক প্রজন্মব্যাপী এর প্রভাব থাকবে।

ডব্লিওএইচও'র মহাপরিচালক টেডরস আধানম গেব্রেইয়েসুস বলেন, যে পরিমাণ ত্রাণ প্রবেশ করছে তা মানুষের প্রয়োজন মেটাতে যথেষ্ট নয়।

জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিওএফপি) জানিয়েছে, প্রতিদিন দুই হাজার টন খাদ্য প্রবেশের লক্ষ্য থাকলেও বর্তমানে মাত্র ৭৫০ টন খাদ্য গাজায় পৌঁছাচ্ছে। কেবল দুটি সীমান্ত ক্রসিং খোলা থাকায় প্রয়োজনের তুলনায় কম ত্রাণ আসছে। 

এছাড়াও ৪১টি আন্তর্জাতিক সংস্থা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে মানবিক সাহায্য প্রদানে বাধা দেওয়ার অভিযোগ করেছে। এসব সংস্থার মধ্যে অক্সফাম ও নরওয়েজিয়ান রিফিউজি কাউন্সিল জানিয়েছে, ১০ থেকে ২১ অক্টোবরের মধ্যে আন্তর্জাতিক এনজিওগুলোর ৯৯টি এবং জাতিসংঘ সংস্থাগুলোর ছয়টি ত্রাণ অনুরোধ আবেদন বাতিল করেছে ইসরায়েল কর্তৃপক্ষ।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি আগ্রাসনে গাজা উপত্যকায় এখন পর্যন্ত ৬৮ হাজার ২০০-এর বেশি ফিলিস্তিনি নিহত এবং এক লাখ ৭০ হাজার ৩০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন বলে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

কেএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।