মিয়ানমারে জাতীয় নির্বাচন: শুরু হয়েছে আগাম ভোটগ্রহণ
মিয়ানমারের বহুল সমালোচিত নির্বাচনে বিদেশে অবস্থানরত নাগরিকদের জন্য ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। শনিবার (৬ ডিনসেম্বর) ব্যাংককে অবস্থিত দেশটির দূতাবাসে কয়েক ডজন মিয়ানমারের নাগরিক আগাম ভোট প্রদান করেন।
২০২১ সালের অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করা মিয়ানমারের সামরিক জান্তা দেশকে বহু-পাক্ষিক গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিয়েছে। এরপরও জান্তা দাবি করছে, এই নির্বাচন দেশকে শান্তি ও গণতন্ত্রের পথে এগিয়ে নেবে।
ধাপে ধাপে ভোট গ্রহণের পরিকল্পনা অনুযায়ী মিয়ানমারের কয়েকটি এলাকায় ডিসেম্বরের শেষ দিকে নির্বাচন শুরু হওয়ার কথা। তবে আগাম ভোট এরই মধ্যে শুরু হয়েছে হংকং, সিঙ্গাপুর, চিয়াং মাই এবং ব্যাংককের মিয়ানমার দূতাবাসে।
শনিবার সকালে ব্যাংকক দূতাবাসে কড়া পুলিশ উপস্থিতি দেখা যায়। ভোট শুরুর প্রথম দুই ঘণ্টায় প্রায় ২৫ জন ভোটার নিবন্ধন করে ভোট দেন। বেশ কয়েকজন ভোটার মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান।
থাই শ্রম মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, শুধু ব্যাংককেই প্রায় পাঁচ লাখ নিবন্ধিত মিয়ানমার নাগরিক রয়েছেন। আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) বলছে, থাইল্যান্ডে মোট ৪.১ মিলিয়ন মিয়ানমার নাগরিক বসবাস করছেন, যাদের অনেকেই যুদ্ধে দেশ ছেড়ে আসা এবং আননথিভুক্ত অভিবাসী।
দূতাবাস কর্মকর্তারা জানান, কতজন নাগরিক ভোটের জন্য প্রয়োজনীয় নিবন্ধন ফর্ম পূরণ করেছেন—তা তারা এখনও নিশ্চিত নন। এই ফর্ম জমা দেওয়ার শেষ সময় ছিল গত ১৫ অক্টোবর।
অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আইনপ্রণেতারা, মানবাধিকার পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলো এবং জান্তা-বিরোধী বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো নির্বাচনটিকে সামরিক শাসন আড়াল করার প্রহসন হিসেবে বর্ণনা করেছে।
এদিকে সামরিক সরকার নির্বাচনের আগে নতুন কঠোর আইন প্রণয়ন করেছে, যেখানে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রতিবাদ বা সমালোচনার জন্য সর্বোচ্চ ১০ বছর কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।
সূত্র: এএফপি
এমএসএম