তাইওয়ানের কাছে ১১ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রি করবে যুক্তরাষ্ট্র
তাইওয়ানকে ১১ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তাইপে বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ওয়াশিংটন তাইওয়ানের কাছে ১১ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে। সম্ভাব্য চীনা আক্রমণ ঠেকাতে দ্বীপটির জন্য এটি সবচেয়ে বড় অস্ত্র প্যাকেজগুলোর মধ্যে একটি। খবর এএফপির।
যদিও ঐতিহ্যগতভাবেই ওয়াশিংটন তাইওয়ানের বৃহত্তম অস্ত্র সরবরাহকারী। তবে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি মন্তব্য করেছিলেন যে, তিনি তাইওয়ানকে রক্ষা করতে চান। তার এমন মন্তব্য নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন অনেকেই।
গত এক দশকে চীন সামরিক চাপ বৃদ্ধি করায় তাইওয়ান তার প্রতিরক্ষা ব্যয় বাড়িয়েছে। কিন্তু ট্রাম্প প্রশাসন তাইওয়ানকে আত্মরক্ষার জন্য আরও কিছু করার জন্য চাপ দিয়ে যাচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার নতুন অস্ত্র বিক্রির ঘোষণা এসেছে। তবে এক্ষেত্রে মার্কিন কংগ্রেসের অনুমোদন প্রয়োজন হবে। জানুয়ারিতে ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর এটা হবে দ্বিতীয় অস্ত্র বিক্রি।
তাইপেইয়ের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসনের দ্বিতীয় মেয়াদে তাইওয়ানের কাছে এটি দ্বিতীয় অস্ত্র বিক্রির ঘোষণা, যা আবারও তাইওয়ানের নিরাপত্তার প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের দৃঢ় প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করছে।
ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানকে ১০ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে। এর মধ্যে ৮ বিলিয়ন ডলারের যুদ্ধবিমান ছিল।
তাইওয়ানের নিজস্ব প্রতিরক্ষা শিল্প রয়েছে কিন্তু চীনের সঙ্গে সংঘর্ষ হলে তাদের পরাজয়ের আশঙ্কা রয়েছে এবং সে কারণেই তারা মার্কিন অস্ত্রের উপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সর্বশেষ অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন থেকে বোঝা যাচ্ছে যে ওয়াশিংটন তাইপেইকে ‘দ্রুত শক্তিশালী প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরিতে’ সহায়তা অব্যাহত রেখেছে।
টিটিএন