ব্যাংকনোট-মোবাইলের স্ক্রীনে ২৮ দিন বেঁচে থাকতে পারে করোনা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:১২ এএম, ১২ অক্টোবর ২০২০

কোভিড-১৯ সংক্রমণের জন্য দায়ী ভাইরাস ব্যাংকনোট, কাচের তৈরি জিনিস ও স্টেইনলেস স্টীলে প্রায় ২৮ দিন ধরে বেঁচে থাকতে পারে। সোমবার অস্ট্রেলিয়ার একদল গবেষক এমনটাই দাবি করেছেন। খবর রয়টার্সের।

নতুন এই গবেষণার তথ্য সামনে আসার পর করোনাভাইরাসকে প্রতিহত করতে হাত পরিষ্কারের ওপর আবারও জোর দিয়েছেন গবেষকরা। ফ্লু ভাইরাসের চেয়েও বেশি সময় ধরে বিভিন্ন জিনিসের মধ্যে বেঁচে থাকতে সক্ষম করোনাভাইরাস।

সে কারণে যে কোনো কিছু ধরার পরই আমাদের বার বার নিজেদের হাত পরিষ্কার করতে হবে। ভাইরাস থেকে বাঁচতে এ বিষয়ে সচেতনার বিকল্প নেই।

অস্ট্রেলিয়ার ন্যাশনাল সায়েন্স এজন্সির (সিএসআইআরও) একদল গবেষক জানিয়েছেন, অতি নিয়ন্ত্রিত একটি পরিবেশে দীর্ঘ সময় ধরে বেঁচে থাকতে পারে এবং সংক্রমণ ঘটাতে পারে করোনা।

সিএসআইআরও'র ওই নতুন গবেষণায় উঠে এসেছে যে, ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস (৬৮ ডিগ্রি ফারেনহাইট) তাপমাত্রায় সার্স-কোভ-২ ভাইরাস ২৮ দিন পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে এবং সংক্রমণ ঘটাতে পারে। বিশেষ করে প্লাস্টিকের ব্যাংকনোট, মোবাইলের স্ক্রীনে ব্যবহৃত গ্লাস এবং স্টেইনলেস স্টীলে এরা দীর্ঘদিন বেঁচে থাকতে সক্ষম।

ভাইরোলজি জার্নালে নতুন এই গবেষণা প্রকাশ করা হয়েছে। ওই গবেষণায় বলা হয়েছে, একই রকম জিনিসের মধ্যে ইনফ্লুয়েঞ্জার ভাইরাস বেঁচে থাকতে পারে ১৭ দিন।

গবেষণার প্রধান শেন রিডেল বলেন, হাত পরিষ্কারের গুরুত্বের বিষয়টিকে আরও জোর দেওয়া প্রয়োজন। বার বার হাত পরিষ্কার বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার এবং ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটতে পারে এমন জিনিসপত্রও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।

২০, ৩০ এবং ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় গবেষণা চালিয়ে দেখা গেছে কম তাপমাত্রায় ভাইরাস দীর্ঘ সময় বেঁচে থাকতে পারে। এছাড়া অমসৃণ কোনো বস্তুত চেয়ে মসৃণ বস্তুর ওপর ভাইরাস বেশি সময় টিকে থাকতে পারে।

একই রকম ঘটনা ঘটে কাগজের ব্যাংকনোট ও প্লাস্টিকের ব্যাংক নোটের ক্ষেত্রেও। কাগজের নোটের চেয়ে প্লাস্টিকের নোটে ভাইরাস বেশিদিন বেঁচে থাকতে সক্ষম।

গ্রীষ্মে ভাইরাসের প্রকোপ কিছুটা কমতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেছেন গবেষকরা। বিশ্বের অনেক দেশের তুলনায় করোনা সংক্রমণকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া।

ফলে করোনা পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আছে। আড়াই কোটি জনসংখ্যার দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ২৭ হাজার এবং মারা গেছে ৮৯৮ জন।

টিটিএন

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।