লকডাউন জারি করছে ইংল্যান্ড
অডিও শুনুন
পুরো ইংল্যান্ডে এক মাসের লকডাউন জারি করতে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এই লকডাউন ক্রিসমাসের আগেই শেষ হবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়েছে। সোমবার নতুন করে ‘স্টে অ্যাট হোম’ অর্ডার ঘোষণা হতে পারে। নতুন বিধি-নিষেধের আওতায় সব স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হবে। খবর বিবিসির।
ইউরোপজুড়ে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়েছে। ফলে অনেক দেশই ইতোমধ্যেই কড়াকড়ি ও লকডাউন জারি করেছে। সাম্প্রতিক সময়ে ইউরোপের
অন্যান্য দেশের তুলনায় যুক্তরাজ্যে করোনা সংক্রমণে মৃত্যুর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি লক্ষ্য করা গেছে।
দেশটিতে সংক্রমণও দ্রুত গতিতে বাড়তে শুরু করেছে। ফলে নতুন করে কড়াকড়ি আরোপ করতে বাধ্য হচ্ছে প্রশাসন। সাম্প্রতিক সময়ে সতর্ক করা হয়েছে যে, দেশটিতে করোনা সংক্রমণে দৈনিক মৃত্যু ৪ হাজারে পৌঁছাতে পারে।
মাত্র দু’দিন আগেই বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন যে, ইংল্যান্ডে প্রতিদিন প্রায় এক লাখ মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে। সাম্প্রতিক এক বিশ্লেষণ থেকে এ তথ্য উঠে এসেছে। লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজের এক বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, মহামারির গতি ত্বরান্বিত হচ্ছে এবং প্রতি ৯ দিনে সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা দ্বিগুণ হচ্ছে।
গবেষকরা বলছেন, ‘আমরা একটি জটিল অবস্থার মধ্যে আছি।’ বেশ কিছু জিনিস পরিবর্তন করা প্রয়োজন বলেও উল্লেখ করেন তারা। পুরো ইউরোপজুড়েই করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়েছে। বেশিরভাগ দেশেই সংক্রমণ ও মৃত্যু দ্রুত গতিতে বাড়তে দেখা গেছে।
তবে ইংল্যান্ডে পরবর্তীতে কি পদক্ষেপ নেওয়া হবে সে বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদের সব সদস্যদের নিয়ে এখনও কোনো আলোচনা হয়নি এবং এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তও হয়নি। তবে করোনা নিয়ন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী জনসন কঠোর পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছেন বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
ব্রিটেনে শীতকালীন সময়ে করোনায় প্রায় ৮৫ হাজার মানুষের মৃত্যু হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় শুধু ইংল্যান্ডই নয়, এর মধ্যেই জার্মানি, ফ্রান্স, বেলজিয়ামের মতো দেশগুলোও দ্বিতীয় দফায় লকডাউনে ফিরেছে।
গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশে প্রথম করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। তারপর থেকে এখন পর্যন্ত বিশ্বের দুই শতাধিক দেশ ও অঞ্চলে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। তবে এখন পর্যন্ত করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুতে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
এই তালিকায় ৯ম স্থানে রয়েছে যুক্তরাজ্য। ওয়ার্ল্ডোমিটারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, যুক্তরাজ্যে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৯ লাখ ৮৯ হাজার ৭৪৫। এর মধ্যে মারা গেছে ৪৬ হাজার ২২৯ জন।
টিটিএন/এমএস