ভারতে বাড়ছে টিকা ভীতি, না নিয়েও নেয়ার দাবি বহু স্বাস্থ্যকর্মীর

ভারতে করোনার টিকা নেয়ার ভীতি ক্রমেই বাড়ছে। ভ্যাকসিন নেয়ার পরে কয়েকজনের মৃত্যুর অভিযোগে এই আতঙ্ক ছড়িয়েছে বলে জানা গেছে। যদিও এখনো পর্যন্ত কোনো ক্ষেত্রেই ভ্যাকসিনকে মৃত্যুর কারণ হিসেবে মেনে নেয়নি প্রশাসন। তবুও আতঙ্ক যে ক্রমে বাড়ছে, তার প্রমাণ মিলেছে।
বেঙ্গালুরুতে অন্তত ২০ জন স্বাস্থ্যকর্মীকে চিহ্নিত করা গেছে, যারা ভ্যাকসিন না নিয়েও তা নেয়ার ভুয়া দাবি করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। খবর সংবাদ প্রতিদিন।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি অনুযায়ী, প্রথম দিন থেকেই দৈনিক টার্গেট পূরণ করতে পারেনি বেঙ্গালুরু। যেদিন টিকাকরণ শুরু হয়, সেদিনই লক্ষ্যমাত্রা ৪৭৫-এর জায়গায় মাত্র ৩৫০-এ থেমে যায় টিকাকরণ। পরবর্তী দিনগুলোতে আরও কমে যায় দৈনিক টিকাকরণের সংখ্যা। এর পেছনে দুটি কারণ দেখা যাচ্ছে। একটি ভ্যাকসিন নিয়ে আতঙ্ক। অন্যটি হলো কো-উইন অ্যাপের প্রযুক্তিগত জটিলতা।
‘বৃহৎ বেঙ্গালুরু মহানগর পালিকা’ তথা বিবিএমপির এক কর্মকর্তার ভাষ্য, এক মেডিকেল অফিসার বলেছেন, তিনি ভ্যাকসিনকে বিশ্বাস করেন না এবং নিতেও চান না। তিনি এক নার্সকে বলেছেন, তার হাতে তুলো লাগিয়ে দিতে। যাতে তিনি ভান করতে পারেন যে, তার ভ্যাকসিন নেয়া হয়ে গেছে।
এর ফলে কতজন টিকা নিলেন, সেই হিসাবেও গোলমাল হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই ধরনের প্রবণতা যে বিপজ্জনক তা স্বীকার করেছেন বিবিএমপির এক কর্মী। তার মতে, যদি কোনো স্বাস্থ্যকর্মী ভ্যাকসিন নেয়ার ভান করেন, তার নাম তালিকায় আংশিকভাবে থাকবে। যদি তিনি দ্বিতীয় ডোজটি সত্যিই নেন, তাহলেও তা কার্যকর হবে না। ক্ষতি হবে তাদেরই।
যদিও এখনো পর্যন্ত কর্ণাটকে ভ্যাকসিন নেয়ার পরে কারও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। তবুও দেশের বাকি অংশ থেকে যে খবর মিলছে, তাতেই আশঙ্কা ছড়িয়েছে এই রাজ্যেও। রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী শুক্রবার (২২ জানুয়ারি) জানিয়েছেন, এখনো পর্যন্ত ১ লাখ ৩৯ হাজার মানুষ ভ্যাকসিন নিয়েছেন। কয়েকজনের মধ্যে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গেলেও কোনো মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি।
এমআরআর/জিকেএস