চীনে লকডাউনে আটকা প্রায় ৩ কোটি মানুষ
করোনা মহামারি মোকাবিলায় শুরু থেকেই ‘জিরো কোভিড’ নীতি মেনে চলছে চীন। তারপরও দেশটিতে সম্প্রতি করোনা রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। মঙ্গলবার চীনে (১৫ মার্চ) নতুন করে ৫ হাজার ২৮০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে, যা আগের দিনের চেয়ে দ্বিগুণেরও বেশি। খবর এএফপির।
চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের তথ্য অনুসারে, উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ জিলিনে সবচেয়ে বেশি তিন হাজার মানুষ নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। ৯০ লাখ লোকের শহর চাংচুনসহ বেশ কয়েকটি এলাকার বাসিন্দারা লকডাউনে আটকা পড়েছেন।
মঙ্গলবার টানা ষষ্ঠদিনের মতো এক হাজারের বেশি করোনা রোগী শনাক্ত হলো বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ চীনে। এদিন দেশটির কমপক্ষে ১৩টি শহর সম্পূর্ণ লকডাউন এবং আরও কয়েকটি শহরে আংশিক লকডাউন দেওয়া হয়েছে।
দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রযুক্তি হাব শেনজেনে তিনদিন ধরে লকডাউন চলছে। যেখানে প্রায় ১ কোটি ৭৫ লাখ লোকের বসবাস। সেখানকার অনেক কারখানা ও সুপারমার্কেট বন্ধ রয়েছে। চীনের বৃহত্তম শহর সাংহাইও আংশিক বিধিনিষেধের মধ্যে রয়েছে। আশপাশের শহরগুলোতে লকডাউন দেওয়ায় বেইজিংয়ের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে স্বাস্থ্যবিধিতে কড়াকড়ি আনা হয়েছে।
অক্সফোর্ড ইকোনমিক্সের টমি উ একটি ব্রিফিংয়ে বলেছেন, চীনে নতুন বিধিনিষেধ, বিশেষ করে শেনজেনে লকডাউন দেওয়ায় সেখানকার ব্যয় বাড়বে এবং পণ্য সরবরাহে ব্যাঘাত ঘটবে। এর ফলে চীনের জন্য বার্ষিক প্রায় ৫ দশমিক ৫ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যপূরণ করা চ্যালেঞ্জিং হবে।
এদিকে, মঙ্গলবার হংকংয়ের শেয়ার মার্কেটে তিন শতাংশেরও বেশি পতন ঘটেছে। এএনজেড ব্যাংকের বিশ্লেষক রেমন্ড ইয়ং’র একটি গবেষণা নোট বলছে, দক্ষিণ এবং পূর্ব চীনের প্রদেশগুলোতে আংশিক বিধিনিষেধের বিষয়টি উদ্বেগজনক। কারণ সেখানে দেশটির মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক বাস করে এবং মোট জিডিপির অর্ধেক এখান থেকেই আসে।
ফ্লাইট ট্র্যাকিং ডেটা অনুযায়ী, মঙ্গলবার সকালে বেইজিং ও সাংহাই বিমানবন্দরে বেশ কিছু অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।
এমপি/কেএএ/এএসএম