বন্দীদের ‘নির্মূলের নীতি’ সিরিয়াতে


প্রকাশিত: ০৫:০০ এএম, ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক এক প্রতিবেদনে অভিযোগ তোলা হয়েছে, সিরীয় সরকার দেশটির বন্দীদের নির্মূল করার নীতি নিয়েছে। এই প্রতিবেদনে দেশটির প্রেসিডেন্ট বাশার আর-আসাদকে মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত করা হয়েছে। সরকারি পক্ষের পাশপাশি সরকারবিরোধী পক্ষের বিরুদ্ধেও যুদ্ধাপরাধের সম্ভাবনার কথা বলা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অনেক বন্দীকে নির্যাতন করা হয়েছে, কাউকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে, অন্যরা খাদ্য, পানি অথবা চিকিৎসার অভাবে মারা গেছেন।

২০১১ সালের মার্চে সিরিয়ায় সরকারবিরোধী আন্দোলন শুরু হওয়ার পর থেকে কয়েকশ প্রত্যক্ষদর্শীর সাথে কথা বলে প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। এতে হাজারো বন্দীর মৃত্যুর কথাও বলা হয়েছে।

সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে এখনো পর্যন্ত আড়াই লাখ মানুষ নিহত হয়েছেন। ৪০ লাখের বেশি মানুষ দেশটি ছেড়ে পালিয়েছেন এবং আরো দেড় কোটির কাছাকাছি সংখ্যকের মানবিক সহায়তা প্রয়োজন।

জাতিসংঘের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বন্দীদের মৃত্যুর বিষয়ে কারাগারের ঊধ্বর্তন কর্মকর্তাদের নিয়মিত জানানো হতো। গণকবরে সমাহিত করার আগে বন্দী অবস্থায় মৃতদের সামরিক হাসপাতালে নেয়া হতো।

২০১১ সালের মার্চ থেকে সিরিয়ায় এমন অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এই ভেবে যে, তারা বিরোধীপক্ষের অনুসারী অথবা সরকারের জন্য যথেষ্ট ভক্তি নেই।

সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসব বিষয়ে পুরোপুরি ওয়াকিবহাল ছিলেন বলেও উল্লেখ করা হয়েছে ‘আউট অব সাইট: আউট অব মাইন্ড: ডেথস ইন ডিটেনশন ইন দ্য সিরিয়ার আরব রিপাবলিক’ শীর্ষক প্রতিবেদনে।

এনএফ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।