২৯ হাজার কর্মীকে প্রশিক্ষণ দেবে জাগুয়ার ল্যান্ড রোভার

বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরিতে এক ধাপ এগিয়ে জাগুয়ার ল্যান্ড রোভার অটোমোটিভ পিএলসি। এবার কোম্পানিটির তরফে জানানো হলো কার্বন নিঃসরণ কমাতে ব্যাটারি তথা বিদ্যুচ্চালিত গাড়ি বাজারে আনতে যাবতীয় কাজ যেমন উৎপাদন এবং সার্ভিসিংয়ের জন্য বিশ্বব্যাপী ৬০ শতাংশ কর্মীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
ব্রিটিশ অটোমোটিভ কোম্পানিটি বলছে, নিজের ২৯ হাজার কর্মীকে প্রশিক্ষণ দেবে তারা। শুধু তাই নয় যারা ফ্রাঞ্চাইজি নেবেন সেই ডিলারদেরও প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। স্থানীয় সময় বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) জাগুয়ার ল্যান্ড রোভার (জেএলআর) কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে আরও জানিয়েছে, কোম্পানির বেশিরভাগ মাঠ পর্যায়ের টেকনিশিয়ানদের এই অর্থবছরে বৈদ্যুতিক যানবাহন মেরামত ও সার্ভিসের জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। তাদের মধ্যে যুক্তরাজ্যে রয়েছে ১০ হাজার কর্মী।
সারা বিশ্বে অটোমেকাররা বৈদ্যতিক গাড়ির পরিকল্পনা বাড়াতে কর্মীদের পুনরায় দক্ষ করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। গত জুলাই মাসে, মার্সিডিজ-বেঞ্জ গ্রুপ এজি জানায়, ২০৩০ সালের মধ্যে কর্মীদের প্রশিক্ষণে ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন ইউরো বা ১ দশমিক ২৫ বিলিয়ন খরচ করবে তারা।
জেএলআর ২০২৫ সালের মধ্যে জাগুয়ার, দুটি ব্র্যান্ডের মধ্যে ছোট ইঞ্জিনসম্বলিত সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। যেখানে ল্যান্ড রোভার ২০২৪ সালে তার প্রথম সম্পূর্ণ বৈদ্যুতিক মডেল পেয়ে যাবে। এর আগে জাগুয়ার পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করে যে ২০২৫ সাল থেকে তারা শুধু বিদ্যুৎ-চালিত গাড়িই বিক্রি করবে।
গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো গত কয়েক মাস ধরে সংগ্রাম করছে সেমিকন্ডাক্টরের ঘাটতির কারণে। বিলাসবহুল এসইউভি এবং স্পোর্টস কারগুলোর সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হয়েছে এ কারণেই।
বিশ্বে ২০২০ সালে বৈদ্যতিক গাড়ি বিক্রি হয়েছে ৩২ লাখ, শতকরা হিসাবে এর পরিমাণ হচ্ছে ৪৩ শতাংশ। যদিও করোনাভাইরাস মহামারির কারণে এক পঞ্চমাংশ কমে গেছে সেটি। গোটা বিশ্বে যে পরিমাণ গাড়ি বিক্রি হয় তার চেয়ে এই সংখ্যা মাত্র পাঁচ শতাংশ।
বিনিয়োগ ব্যাংক ইউবিএস পূর্বাভাসে এর আগে বলেছিল, ২০২৫ সাল নাগাদ যত নতুন গাড়ি বিক্রি হবে তার ২০ শতাংশই হবে বৈদ্যুতিক গাড়ি। ২০৩০ সালেেএর পরিমাণ হবে ৪০ শতাংশ। আর ২০৪০ সালে, ইউবিএসের হিসাব অনুযায়ী, যত নতুন গাড়ি বিক্রি হবে তার প্রায় সবই হবে বৈদ্যুতিক গাড়ি।
সূত্র: ব্লুমবার্গ, বিবিসি
এসএনআর