তারেকের বিরুদ্ধে সমন জারি হয়েছে কিনা জানতে চান হাইকোর্ট
অর্থপাচারের অভিযোগে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের খালাসের বিরুদ্ধে দুদকের করা আপিলে সমন জারির আদেশ পালন হয়েছে কিনা তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী মঙ্গলবারের (২৩ ফেব্রুয়ারি) মধ্যে এ সংক্রান্ত তথ্য আদালতকে জানাতে বলা হয়েছে।
বুধবার হাইকের্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আমির হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে এই মামলার শুনানির জন্য আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়েছে।
গাজীপুরের টঙ্গীতে প্রস্তাবিত ৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে নির্মাণ কাজ পাইয়ে দিতে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে তারেক রহমান ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার টাকা ঘুষ নেন। এ অভিযোগে ২০০৯ সালের ২৬ অক্টোবর ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক।
অভিযোগে বলা হয়, ২০০৩ থেকে ২০০৭ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুরের সিটি ব্যাংকে গিয়াস আল মামুনের ব্যাংক হিসাবে এ টাকা পাঠানো হয়। এই টাকা থেকে তারেক রহমান ৩ কোটি ৭৮ লাখ টাকা খরচ করেন বলে মামলায় দাখিল করা অভিযোগপত্রে বলা হয়।
ওই মামলায় বিচার শেষে ২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালত রায় দেন। রায়ে তারেক রহমানকে বেকসুর খালাস এবং গিয়াস আল মামুনকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।
একইসঙ্গে মামুনকে ৪০ কোটি টাকা অর্থদণ্ড করা হয়। রায়ে বলা হয়, ওই টাকা খরচ করার কথা তারেক রহমান অস্বীকার করেননি। ২০০৭ সালে দুদকে দাখিল করা তারেকের হিসাব বিবরণীতে তার উল্লেখ রয়েছে। তিনি যে মানি লন্ডারিং আইনে অপরাধ করেছেন তা প্রমাণিত হয়নি।
তারেক রহমানকে খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালের ৫ ডিসেম্বর আপিল করে দুদক। অন্যদিকে সাজার রায়ের বিরুদ্ধে গিয়াস আল মামুন আপিল করেন, যা শুনানির জন্য গৃহীত হয়। এরপর হাইকোর্ট গতবছরের ১৯ জানুয়ারি তারেক রহমানকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন।
এ অবস্থায় দুদকের আপিলের উপর শুনানি শুরুর প্রাক্কালে হাইকোর্ট গত ১৪ জানুয়ারি এক আদেশে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সমন জারির নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে তারেক রহমানকে আত্মসমর্পণ করতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি জারির নির্দেশ দেন।
এ নির্দেশে দুদক তারেক রহমানকে আত্মসমর্পণ করতে দুটি পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি জারি করে। পরবর্তী আদেশের জন্য ১৪ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার বিষয়টি আদালতে ওঠে।
এফএইচ/বিএ