ভ্যাট ফাঁকির ‘রাজা’ ক্যাপ্রিকর্ণস


প্রকাশিত: ০৪:৪০ এএম, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

ক্রেতাদের কাছ থেকে ভ্যাটের টাকা নিয়ে নিজেদের পকেট ভারি করছে ক্যাপ্রিকর্ণস। গ্রাহকদের ইসিআর মেশিনে ছাপানো ভ্যাট চালানের বদলে হাতে লেখা ‘কাঁচা চালান’ দিয়ে ভ্যাট ফাঁকি দিচ্ছে ক্যাপ্রিকর্ণস লিমিটেড। উদ্বোধনের পর থেকে গত দুই বৎসর যাবত একইভাবে কর ফাঁকি দিচ্ছে এ প্রতিষ্ঠানটি।

রাজধানীর বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্সের ১৯ তলার ক্যাপ্রিকর্ণসের স্কাইওয়াচ রেস্টুরেন্টি গ্রাহককে হাতে লেখা বিল দিয়ে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আদায় করছে। ভ্যাটের রশিদ চাইলে গ্রাহকদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করার দৃষ্টান্তও রয়েছে আউটলেটটি। ২০১৪ সালের জানুয়ারির ১৪ তারিখে উদ্বোধনের পর থেকেই হাতে লেখা চালান দিয়ে আসছে তারা।

গত মঙ্গলবার আউটলেটটি থেকে তিনটি ক্যাপ্রিকর্ণেস এর ব্যবহৃত তিনটি সিপিইউ, বড় কয়েকটি রেজিস্টার, শতাধিক ক্লিপ ফাইল, প্লাস্টিক ফাইল, এক মেগাকার্টন ভর্তি পুরনো প্রায় ৪০ কেজি রেজিস্টার ও রশিদ বই জব্দ করেছে মূসক গোয়েন্দা (ভ্যাট ইন্টেলিজেন্স)।

গোয়েন্দারা জানান, সম্প্রতি ইসিআর চালান চাওয়ায় এক গ্রাহককে ‘কাঁচা চালান’ নিতে বাধ্য করে ক্যাপ্রিকর্ণস। ইসিআর চালান চাওয়ায় তার সঙ্গে (গ্রাহক) অভদ্র আচরণ করে তারা। পরবর্তীতে ঘটনার সত্যতা পেয়ে ২৬ ধারায় তল্লাশি পরোয়ানার মাধ্যমে সেখানে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে তাদের ব্যবহৃত সিপিইউ ও রেজিস্টার জব্দ করা হয়। ক্যাপ্রিকর্ণের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান গোয়েন্দা কর্মকর্তারা।

দীর্ঘদিন ভ্যাট নিয়ে গ্রাহকে ঠকানো এবং সরকারের রাজস্ব ফাঁকির বিষয়ে ক্যাপ্রিকর্ণস লিমিটেডের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিজিএম) শাহাদাত হোসেনের মোবাইলে (বাংলালিংক নম্বরে) কল করা হয়। কিন্তু প্রতিবার রিং হলেও ফোন ধরেননি তিনি।

জাগো নিউজের পক্ষ থেকে ফোন দেয়া হয় ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হারুন অর রশিদের ব্যক্তিগত নম্বরে। সেই নম্বরটিও আনরিচেবল দেখায়। প্রতিষ্ঠানটির জনসংযোগকারী প্রতিষ্ঠান ‘এক্সট্রা পিআর’ এর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও সেখানেও সন্তোষজনক কোনো উত্তর দিতে পারেননি তারা।

এর আগে গত বছরের অক্টোবরে একই ঘটনা ঘটেছিল মগবাজারের ইস্কাটন রোডের ক্যাপ্রিকর্ণস ওয়ার্ল্ডের আউটলেটে। কোনো ধরণের ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন নম্বর না নিয়ে ক্রেতাদের কাছ থেকে ১৫ শতাংশ ভ্যাট নিচ্ছিল তারা। পরবর্তীতে জাগো নিউজের একটি প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে নতুন ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন নম্বর খুলে প্রায় সাড়ে ৫১ হাজার টাকা ভ্যাট পরিশোধ করে কর্তৃপক্ষ।

এআর/আরএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।