`পাকিস্তানে রাজনৈতিক অসন্তোষ সৃষ্টি করছে উর্দু`


প্রকাশিত: ০১:২৫ পিএম, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

পাকিস্তানে বিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষাক্ষেত্রে এককভাবে উর্দু ভাষার প্রাধান্য দেশটিতে রাজনৈতিক অসন্তোষ সৃষ্টি করছে। রোববার ইউনেস্কোর এক প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে পাকিস্তানিক দৈনিক ডন এ তথ্য জানিয়েছে।

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনের আগে প্রকাশিত জাতিসংঘের নীতি নির্ধারণী একটি প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে তুরস্ক, নেপাল, পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং গুয়েতেমালার জাতিগত সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর উদাহরণ দেয়া হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের মাত্র আট শতাংশেরও কম মানুষ ঘরে উর্দুতে কথা বলে। দেশটির শতকরা ৯২ ভাগ মানুষের মাতৃভাষা উর্দু নয়। তা সত্ত্বেও সরকারি বিদ্যালয়ে শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে উর্দুই ব্যবহৃত হচ্ছে। এতে দেশটিতে রাজনৈতিক অসন্তোষ উস্কে দেয়া হচ্ছে।

১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের কথাও তুলে ধরা হয়েছে। আন্দোলনের জন্য সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠীর ভাষাকে স্বীকৃতি দিতে পাক-শাসকদের ব্যর্থতাকে দায়ী করা হয়। এতে বলা হয়, পাকিস্তানে ছয়টি প্রধান ভাষাভাষি গোষ্ঠী এবং ৫৪টি ক্ষুদ্র ভাষার গোষ্ঠী থাকা সত্ত্বেও উর্দুকে প্রধান ভাষা হিসেবে বেছে নেয়ায় ১৯৫২ সালে সংঘাতে পড়েছিল সদ্য স্বাধীন দেশটি।

এছাড়া বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকার আদিবাসী গোষ্ঠীগুলোর প্রতি ভাষা প্রসঙ্গে কথিত অন্যায়ের কথাও এতে তুলে ধরা হয়। নিজের ভাষায় শিক্ষা দেয়া না হলে তাতে শিশুর শিক্ষার ওপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়ে। ইউনেস্কোর এ প্রতিবেদনে যে ভাষা শিশুরা বোঝে তাতেই শিক্ষা দেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।

এসআইএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।