ইভটিজিংয়ের বিচারে সংঘর্ষ : ইউপি সদস্য নিহত
সিলেটের কানাইঘাট উপজেলায় ইভটিজিংয়ের বিচারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ইউপি সদস্য দুদু মিয়া (৪৮) নিহত হয়েছেন। এসময় অন্তত আরো ২০ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার জুমার নামাজের পর সালিস বৈঠকে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
নিহত দুদু মিয়া কানাইঘাট উপজেলার লক্ষ্মীপাশা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য। তিনি ওই ইউনিয়নের কুওরঘড়ি লামার গ্রামের মৃত তফজ্জুল আলীর ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কানাইঘাটের লক্ষ্মীপাশা ইউনিয়নের কুওরঘড়ি লামার গ্রামের সাবাব উদ্দিনকে ইভটিজিংয়ের অভিযোগে গত বৃহস্পতিবার তিন মাসের কারাদণ্ড প্রদান করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। সাবাব উদ্দিন ওই গ্রামের রাকিব আলীর ভাতিজা। রাকিব আলীর অভিযোগ, দুদু মিয়ার প্ররোচনায় সাবাব উদ্দিনকে শাস্তি পেতে হয়েছে।
এর জের ধরে শুক্রবার জুমার নামাজের পর কুওরঘড়ি লামার গ্রামে সালিস বসে। সালিসে দুদু মিয়া ও রাকিব আলীর মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে উভয়পক্ষ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সংঘর্ষে গুরুতর আহত হন দুদু মিয়া। পরে দুদু মিয়াকে কানাইঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সংঘর্ষে আহত ২০ জনের মধ্যে তিনজনকে কানাইঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং বাকি ১৭ জনকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
কানাইঘাট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির জানান, জুমার নামাজ শেষে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষে দুদু মিয়া নিহত হন। এ ঘটনায় আরো ২০ জন আহত হন। আহতদের কানাইঘাট ও সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
ছামির মাহমুদ/এআরএ/এমএস