দীর্ঘদিনের কর্মীকে ১৫০০ কোটি রুপির বাড়ি উপহার মুকেশ আম্বানির

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:০৪ পিএম, ২৬ এপ্রিল ২০২৩

শুধু ব্যাংক ব্যালেন্সেই ধনী নন মুকেশ আম্বানি। ভারতের অন্যতম ধনী এই মানুষটার মনটাও বিশাল। এর আগেও বহুবার তার প্রমাণ দিয়েছেন তিনি। সেই তালিকায় নতুন করে আরও একটি উদাহরণ যোগ হলো। দীর্ঘদিনের কর্মী মনোজ মোদীকে বিশাল এক সারপ্রাইজ দিয়েছেন তিনি। উপহার হিসাবে তার হাতে তুলে দিয়েছেন দেড় হাজার কোটি রুপির একটি বহুতল ভবন। মুম্বাইয়ের অভিজাত এলাকায় অবস্থিত ২২ তলার ওই অট্টালিকা।

মনোজ মোদী রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুকেশ আম্বানির ডান হাত হিসেবে পরিচিত। রিলায়েন্সের যুগান্তকারী বিভিন্ন চুক্তির সাফল্যের পেছনে অন্যতম তিনি। ১৯৮০-র দশকে রিলায়েন্সে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মুকেশ আম্বানির সবচেয়ে কাছের মানুষ হয়ে ওঠেন মনোজ মোদী।

আরও পড়ুন: মাঝ আকাশে যাত্রীদের মারামারি, প্লেনের জরুরি অবতরণ

করোনা মহামারির সময় ফেসবুকের সঙ্গে জিও’র প্রায় ৪৩ হাজার কোটি রুপির একটি চুক্তি হয়। যে সময় বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন সংস্থায় বিনিয়োগ হচ্ছিল না ঠিক সেই সময়ই বড় অংকের বিদেশি বিনিয়োগ পায় রিলায়েন্স জিও। এর পেছনেও অন্যতম ছিলেন মনোজ মোদী।

মুকেশ আম্বানির পর এখন আকাশ আম্বানি ও ইশা আম্বানির সঙ্গে কাজ করছেন মনোজ মোদী। জিও থেকে শুরু করে রিলায়েন্স রিটেলের কাজকর্ম দেখছেন তিনি।

আরও পড়ুন: চাঁদে অবতরণে ব্যর্থ জাপানের মহাকাশযান

তবে বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তির ডান হাত হলেও রিলায়েন্স গোষ্ঠীতে তার তথাকথিত হেভিওয়েট পদ নেই। অথচ তারই নখদর্পণে থাকে সংস্থার সবকিছু। রিলায়েন্সের সাফল্যের পেছনে মুকেশ আম্বানিকে সাহায্য করার বিষয়ে তার ভূমিকা অনস্বীকার্য।

তবে এতকিছুর পরেও বরাবরই প্রচারবিমুখ তিনি। আর সেই কারণেই খুব কম মানুষ তার বিষয়ে জানেন। উপহারস্বরূপ পাওয়া ‘বৃন্দাবন’ নামের ওই বিশাল অট্টালিকা মুম্বাইয়ের নেপিয়ান সি রোডে অবস্থিত। ২২তলা এই ভবনের প্রথম সাতটি গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য সংরক্ষিত। ভবনটির মোট আয়তন ১ দশমিক ৭ লাখ বর্গফুট। কয়েক মাস আগেই মনোজ মোদীকে এই উপহার দিয়েছেন মুকেশ আম্বানি।

সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস

টিটিএন

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।