মির্জা আব্বাসের মুক্তিতে বাধা নেই
সাংবাদিকদের প্লট বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগে শাহবাগ থানায় দায়ের করা এক মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মির্জা আব্বাসের জামিন মঞ্জুর করেছেন হাইকোর্ট। সব মামলায় জামিন পাওয়ায় কারাগার থেকে মুক্তি পেতে আর বাধা রইল না তার।
বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি মাহমুদুল হকের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ তার জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দেন।
বুধবার আদালতে মির্জা আব্বাসের পক্ষে শুনানি করেন, সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, অ্যাডভোকেট সগীর হোসেন লিওন। অপরদিকে, দুদকের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান।
সগীর হোসেন লিয়ন জানান, মির্জা আব্বাসের জামিনের মেয়াদ মামলার বিচারিক কার্যক্রম শেষ না হওয়া পর্যন্ত বহাল থাকবে।
তার বিরুদ্ধে দুদুকের দায়ের করা সাংবাদিকদের প্লট বরাদ্দের মামলাসহ তিনটি মামলা ছিলো,ইতোমধ্যে সকল মামলায় আদালত জামিন মঞ্জুর করায় আপাতত কারামুক্তিতে বাধা নেই বলে জানান তিনি।
এর আগে গত ৭ ফেব্রুয়ারি বিচারিক আদালতে জামিন না পেয়ে তিনি হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন, এর আগে একই মামলায় হাইকোর্ট মির্জা আব্বাসকে কেন জামিন দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল করা হয়। উক্ত রুলের নিষ্পত্তি করে আজ মির্জা আব্বাসকে জামিন দেয়া হয়।
আইনজীবী অ্যাডভোকেট সগীর হোসেন লিওন বলেন, মির্জা আব্বাস মন্ত্রী থাকা অবস্থায় প্লট বরাদ্দের বিষয়ে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে ২০১৪ সালে শাহবাগ থানায় মামলা করে দুদক। সে মামলায় জামিন চাইতে গিয়ে গত ৬ জানুয়ারি বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করেন তিনি।
শুনানি করে বিচারকি তাকে জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। বিচারিক আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে গত ৭ ফেব্রুয়ানি জামিন আবেদন করেন মির্জা আব্বাস।
তিনি বলেন, মির্জা আব্বাস মন্ত্রী থাকা অবস্থায় সাংবাদিকদের মাঝে যেসব প্লট বরাদ্দ দিয়েছেন তাতে ১৫ কোটি ৫২ লাখ ৫০ হাজার ৯ শত টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে মামলা করে দুদক। সে মামলায় এফআইআর এ মির্জা আব্বাসের নাম ছিল না, কিন্তু পরবর্তীতে তদন্ত করে তদন্ত রিপোর্টে আব্বাসের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয় বলে জানান এই আইনজীবী।
এফএইচ/এসকেডি/পিআর