একমুখি শিক্ষাব্যবস্থা প্রচলনের দাবিতে প্রধানমন্ত্রীকে স্মারকলিপি
সর্বস্তরে সাধারণ, ইংরেজি মাধ্যম ও সকল মাদ্রাসা শিক্ষার আধুনিকায়নে বৈষম্যহীন বিজ্ঞানমনস্ক একমুখি শিক্ষাব্যবস্থা প্রচলনের দাবিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছেন সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের নেতাকর্মীরা।
বৃহস্পতিবার বিকেলে সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের সভাপতি অজয় রায়ের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল এ স্মারকলিপি প্রদান করেন। প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা হলেন সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য নূর মোহাম্মদ তালুকদার, আব্দুল মতিন ভূইয়া, আব্দুল মোনায়েম নেহেরু, ড. আজিজুর রহমান এবং ড. অসিত বরণ রায়।
স্মারকলিপিতে তারা সরকারের কাছে কয়েকটি দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে সংবিধানের সঙ্গে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষার স্তরের সমন্বয় করা। প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও সমপর্যায়ের শিক্ষাকে যুগোপযোগী করা। সকল স্তরের শিক্ষাকে কর্মমুখী করা যাতে শিক্ষার্থীরা উপার্জনক্ষম হয়। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে দেশপ্রেমবোধ জাগ্রত করার লক্ষ্যে জাতীয় সংগীত ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন বাধ্যতামূলক করা।
স্মারকলিপি প্রদানের পূর্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বোপার্জিত স্বাধীনতা চত্বরে একটি গণজমায়েত অনুষ্ঠিত হয়। গণজমায়েতে সম্মিলিত সামাজিত আন্দোলনের সভাপতি অজয় রায়ের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য নূর মোহাম্মদ তালুকদার, পঙ্কজ ভট্টাচার্য প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে অজয় রায় বলেন, দাবিগুলো আদায়ের লক্ষ্যে আমরা আমাদের ক্ষুদ্র পরিসর দিয়ে চেষ্টা করেছি। দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দেশের আনাচে-কানাচে সর্বস্তরে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া হোক। আমরা এই ক্ষুদ্র শক্তি নিয়ে দেশের প্রতিটি জেলায় আন্দোলন চালিয়ে যাবো।
সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য নূর মো. তালুকদার বলেন, বাংলাদেশের মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থা দু’ভাগে বিভক্ত। একটি কাওমী সিস্টেম। আর অন্যটি আলিয়া সিস্টেম। কাওমী মাদ্রাসার শিক্ষা ব্যবস্থা দেওবন্দপন্থি। তাদেরকে বিজ্ঞান, বাংলা এবং গণিতের কিছুই পড়ানো হয় না। ফলে তারা মসজিদে ঈমামতি ছাড়া আর কিছুই করতে পারে না। তাদেরকে কোনো প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব দেয়া হলেও যথাযথভাবে পালন করতে পারে না। অন্যদিকে আলিয়া মাদ্রাসায় বিজ্ঞান, বাংলা এবং গণিতের কিছুই পড়ানো হয়। কিন্তু এসব প্রতিষ্ঠানে অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী থাকা সত্ত্বেও বিজ্ঞানমনস্ক শিক্ষার অভাবে তারা ছিটকে পড়ছে।
বিএ