ইসলামে ধনী-গরিব সবাই সমান


প্রকাশিত: ০৭:২৭ এএম, ১২ মার্চ ২০১৬

ইসলামের বিধান সত্যের মাপকাঠীতে সবার জন্য সমান। অন্যান্য জাতি ধর্ম বর্ণের মতো ব্যক্তি বিশেষ আলাদা আলাদা কোনো বিধান রচনা করার মতো পক্ষপাতিত্বের স্থান ইসলামে নেই। যা বিশ্বনবীর হাদিস থেকে বুঝায় যায়। হাদিসটি তুলে ধরা হলো-

PhotoGallery

উম্মুল মুমিনিন হজরত আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত মাখযুম গোত্রের এক চোর (নারীর) ঘটনা কুরাইশদের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন করে তুললো। এ অবস্থায় তারা বলাবলি করতে লাগলো এ ব্যাপারে আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সঙ্গে কে আলাপ করতে পারে?

তারা বলল, একমাত্র রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রিয়তম ওসামা ইবনু যায়েদ রাদিয়াল্লাহু আনহু এ ব্যাপারে আলোচনার সাহস করতে পারেন।

ওসামা নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সঙ্গে কথা বললেন। নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, ‘তুমি কি আল্লাহর নির্ধারিত সীমা লঙ্ঘনকারিণীর সাজা মওকুফের সুপারিশ করছো?

অতপর নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দাঁড়িয়ে খুতবায় বললেন, ‘তোমাদের পূর্বের জাতিসমূহকে এ কাজই ধ্বংস করছে যে, যখন তাদের মধ্যে কোনো বিশিষ্ট লোক চুরি করতো, তখন তারা বিনা সাজায় তাকে ছেড়ে দিতো। অন্যদিকে যখন কোনো অসহায় গরিব সাধারণ লোক চুরি করতো, তখন তার উপর হদ (বিধান) জারি করতো।

আল্লাহর কসম! যদি মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কন্যা ফাতিমা চুরি করতো, তাহলে আমি অবশ্যই তার হাত কেটে দিতাম। (বুখারি ও মুসলিম)

এ হচ্ছে ইসলামের বিধি-বিধানের নমুনা। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে তাঁর বিধি-বিধান মেনে চলার তাওফিক দান করুন। আমিন।

এমএমএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।