ফুলেল ভালোবাসায় সিক্ত মুজিব
ইতিহাসের মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মৃত্যুর পরে যেন আরো শক্তিমান হয়েছেন। হয়েছেন আরো তেজদীপ্ত। আপন মহিমায় আরো উদ্ভাসিত হয়ে তিলে তিলে ঠাঁই করে নিয়েছেন বাঙালির মনে। মৃত্যুর এত বছর পরেও মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত তিনি। ক্ষণে ক্ষণে জন্মে ভালোবাসার পরশে মুজিব যেন চিরায়িত বাঙালি আঙিনায়।
১৭ মার্চ (বৃহস্পতিবার)। জাতীয় শিশু দিবস। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৬তম জন্মবার্ষিকী। ১৯২০ সালের এই দিনে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্ম নেন ইতিহাসের এই বিশ্বনেতা। দিবসটি উপলক্ষে সরকার ও আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দিনভর চলছে নানা আয়োজন।
বৃহস্পতিবার সকাল ৭টায় রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। সঙ্গে ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। এরপর ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন মুজিব ভুক্ত হাজারো মানুষ। ফুলের ডালায় শ্রদ্ধা নিবেদন হচ্ছে এখনও।
বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে দেশব্যাপী চলছে আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল ও আনন্দ র্যালি। জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতেও নানা কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।
বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিতে এসেছিলেন কণ্ঠশিল্পী ও সাংসদ মমতাজ বেগম। কথা হয় এই গুণী শিল্পীর সঙ্গে। তিনি বলেন, জাতির পিতার জন্মদিনে ফুল দিতে এসেছি। আজকের দিন গোটা বাঙালি জাতির আনন্দের দিন। এমন দিবসে ফুলেল ভালোবাসায় পিতাকে স্মরণ না করে ঘরে থাকা যায় না।
আওয়ামী লীগ নেতা পঙ্কজ দেবনাথ বলেন, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশ হয়ত স্বাধীন হতো না। তাকে স্মরণ করার মধ্য দিয়ে মূলত এই মহামানবের চেতনাকে আগলে রাখা। যে চেতনায় সমস্ত অপশক্তিকে পরাভূত করা যায়।
এএসএস/এসএইচএস/একে/এবিএস