ভারতে বাড়িতে ঢুকে সাংবাদিককে গুলি করে হত্যা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:৫৭ পিএম, ১৮ আগস্ট ২০২৩
ছবি: সংগৃহীত

ভারতের বিহার রাজ্যে বাড়িতে ঢুকে এক সাংবাদিককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। শুক্রবার (১৮ আগস্ট) স্থানীয় সময় সকালে আরারিয়া জেলার রানিগঞ্জ বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টিকে অত্যন্ত দুঃখজনক আখ্যা দিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের গুরুত্বের সঙ্গে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নিতীশ কুমার।

বিহার পুলিশের বরাতে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, নিহত সাংবাদিকের নাম বিমল কুমার যাদব। ৩৫ বছর বয়সী বিমল দৈনিক জাগরণ পত্রিকার স্থানীয় সাংবাদিক ছিলেন। তার ১৫ বছর বয়সী একটি ছেলে ও ১৩ বছর বয়সী একটি মেয়ে রয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার ভোর ৫টা ৩০ মিনিটের দিকে যাদবের বাড়িতে এসে তাকে ডাকাডাকি করে বন্দুকধারীরা। দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গে তারা বিমলের বুকে গুলি করে।

ঘটনার মাত্র পাঁচ মিনিট পর ৫টা ৩৫ মিনিটের দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছান স্থানীয় থানার ওসি। তিনি ঘটনাটির প্রাথমিক তদন্ত করেন ও মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠান। পুলিশ আরও জানায়, একটি ফরেনসিক টিম ও একদল প্রশিক্ষিত কুকুরও ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়।

পুলিশ বলেছে, প্রাথমিক তদন্ত অনুযায়ী, প্রতিবেশীদের সঙ্গে পুরনো শত্রুতা থেকে এমন মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। দুই বছর আগেই বিমলের ছোট ভাই শশীভূষণ যাদবকেও ঠিক একইভাবে খুন করেছিল সন্ত্রাসীরা। ওই ঘটনার মূল প্রত্যক্ষদর্শী ও সাক্ষী ছিলেন বিমল। ভাইয়ের হত্যার ঘটনায় সাক্ষ্য না দিতে প্রায়ই হুমকি পেতেন তিনি।

রাজ্য পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তা জিতেন্দ্র সিং গ্যাঙ্গোয়ার বলেন, শশীভূষণ হত্যা মামলার অভিযোগপত্র পড়ার পর ঘাতক ভেবেছিল, বিমলের সাক্ষ্য এ মামলায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পুলিশ এ বিষয়টার ওপর নজর রেখেই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করছে। বিমলের পরিবারও দাবি, দুই ভাইয়ের হত্যার মধ্যে যোগসূত্র রয়েছে।

এ হত্যার ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে আরারিয়া ডিস্ট্রিক্ট জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অমরেন্দ্র সিং বলেন, মনে করা হচ্ছে, যাদব এমন কোনো খবর লিখেছিলেন, যাতে এলাকার একটি মহলের স্বার্থে আঘাত লাগে। পরে এরই জেরে তাকে হত্যা করা হয়েছে।

সূত্র: এনডিটিভি

এসএএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।