শারদীয় উৎসবের আগে পশ্চিমবঙ্গে বাংলাদেশের ইলিশের চাহিদা তুঙ্গে

পশ্চিমবঙ্গ প্রতিনিধি পশ্চিমবঙ্গ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৩:৪৭ পিএম, ০৩ অক্টোবর ২০২৩

শারদীয় দুর্গোৎসবের বাকি হাতে গোনা কয়েক দিন। তারপরেই ঢাকে পরবে কাঠি ।
পূজোকে সামনে রেখে ভোজন রসিক ইলিশ প্রেমী বাঙালিরা বেশ খুশি। কারণ বেশ কয়েক দফায় বাংলাদেশ থেকে পদ্মার রুপালি ইলিশ এসেছে এ রাজ্যে।

কলকাতা ও হাওড়াসহ আশপাশের জেলায় মাছ বাজার গুলোতে এখনো মিলছে প্রচুর পরিমাণে বাংলাদেশের পদ্মার রুপালি ইলিশ। তাছাড়া শারদীয় দুর্গোৎসবের আগে কলকাতাসহ তার পার্শ্ববর্তী শহরাঞ্চলে বাংলাদেশের রুপলি ইলিশের চাহিদা বেশ ভালোই।

আরও পড়ুন>দিল্লিতে বেশ কয়েকজন সাংবাদিক-লেখকের বাড়িতে পুলিশের তল্লাশি

দাম একটু বেশি হলেও বাংলাদেশের এই সুস্বাদু ইলিশ মাছের চাহিদা এখনও সেভাবে কমেনি কলকাতাসহ পার্শ্ববর্তী শহর অঞ্চলের মাছবাজার গুলোতে।

কলকাতা দক্ষিণ দমদম মাছ বাজারের খুচরা মাছ বিক্রেতা সুনীল বৈরাগী বলেন, আমাদের এখানে বাংলাদেশের ইলিশ মাছের চাহিদা বেশ ভালোই আছে। আমাদের কাছ থেকে যারা মাছ কিনে নিয়ে যাচ্ছে তারা জানাচ্ছে, মাছের স্বাদও আছে, বেশ তেল বেরোচ্ছে, তবে ইলিশ মাছের যে একটা গ্রাণ সেটা কিন্তু ঠিক পাওয়া যাচ্ছে না।

খুচরা মাছ বিক্রেতা সুনীল বৈরাগী আরও জানান, হয়তো দূষণের জন্য সেই গ্রাণটা আর এখন সেইভাবে পাওয়া যাচ্ছে না। এই একটা অভিযোগ ক্রেতারা এসে আমাদের কাছে করছে।

এইসব বাজারে বাংলাদেশের এই রুপালি ইলিশ খুচর বিক্রি হচ্ছে প্রতি ১ কিলো ১০০ থেকে ২০০ গ্ৰামের মাছ ১৬০০ রুপি থেকে ১৮০০ রুপি করে। ১ কিলো ওজনের মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৫০০ রুপিতে। এইব খুচর বাজারে প্রত্যেক দিন এক এক দোকানে ৪০ থেকে ৫০ কিলো মাছ বিক্রি করছে।

কলকাতার পার্শ্ববর্তী শহরাঞ্চল আগরপাড়া বাসিন্দা অর্চনা সাহা বলেন, অনেকদিন ধরেই ভাবছি বাংলাদেশের ইলিশ কিনবো। কিন্তু বাজারে গিয়ে দেখছি বেশ দাম।
অপেক্ষায় ছিলাম কয়েকদিন পর দাম হয়তো একটু কমবে। কিন্তু বাজারে গিয়ে দেখলাম বাংলাদেশের ইলিশের যেমন চাহিদা, দামও ঠিক ততটাই চড়া। মেয়ের শখ হয়েছে বাংলাদেশের ইলিশ খাবে তাই ১৮০০ রুপি দিয়ে ইলিশ কিনলাম।

তবে পশ্চিমবঙ্গের শহরাঞ্চলের থেকে গ্রামাঞ্চলের দিকে বাংলাদেশের ইলিশের চাহিদা একটু কম। কারণ এখানকার দীঘার মোহনার বা ডায়মন্ড হাবরার ইলিশের দামের চেয়ে বাংলাদেশের ইলিশের দাম অনেকটাই বেশি।

কলকাতার ফিস ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক আনোয়ার মাকসুদ জাগোনিউজকে জানান, এই পর্যন্ত ধাপে ধাপে ৪৪০ মেট্রিকটন বাংলাদেশের রুপলি ইলিশ ভারতে এসেছে।এখন বাংলাদেশের ইলিশের চাহিদা মোটামুটি রয়েছে।

সামনে শারদীয় দুর্গোৎসব আর এই শারদীয় উৎসবে বাংলাদেশের ইলিশের চাহিদা আরও বাড়বে বলে মনে করছেন কলকাতার ফিস ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক আনোয়ার মাকসুদ।

ডিডি/এমএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।