পশ্চিমবঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বলে কিছু নেই: রাজনাথ সিং

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:০৩ পিএম, ২১ এপ্রিল ২০২৪

গোটা পশ্চিমবঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বলে কিছু নেই বলে মন্তব্য করলেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং।

লোকসভা নির্বাচন নিয়ে রাজ্য রাজনীতির উত্তাপ চরমে। রোববার (২১ এপ্রিল) মুর্শিদাবাদের জলঙ্গিতে লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং জনসভা করেন।

আরও পড়ুন>

সেই সভা থেকে রাজনাথ সিং বলেন, পশ্চিমবঙ্গের মাটি ভারতের সংস্কৃতির জাগরণের একটি কেন্দ্র। বন্দে মাতরম ও জাতীয় সঙ্গীত লিখেছিলেন, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, যারা বাংলার এই পবিত্র মাটিতেই জন্ম নিয়েছিলেন। আপনারা সকলেই জানেন বাংলার একটি সুন্দর ঐতিহ্যশালী ইতিহাস আছে। চৈতন্য মহাপ্রভু, রাজা রামমোহন রায় এবং ইশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মতো মহান ব্যক্তিরা এই পবিত্র মাটিতে জন্মগ্রহণ করেছেন। এছাড়াও সুভাষচন্দ্র বসু এবং শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি-র মতো রাষ্ট্রবাদী ব্যক্তিরা এই বাংলার মাটিতে জন্মগ্রহণ।

এরপর দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীকে সরাসরি আক্রমণ করে বলেন, আজ মমতা দিদির নেতৃত্বে এই বাংলার কি অবস্থা তৈরি হয়েছে। পুরো পশ্চিমবঙ্গে একটি অরাজকতার পরিবেশ তৈরি হয়েছে। যেখানে গুণ্ডা, চাঁদাবাজদের সাহস অনেক বেড়ে গেছে। ভালো লোকেরা পশ্চিমবঙ্গে থাকতে ভয় পাচ্ছে। গোটা পশ্চিমবঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা বলে কিছু নেই সারাদেশে পশ্চিমবঙ্গ অপরাধের জন্য পরিচিত।

সন্দেশখালীর ঘটনা তুলে ধরে প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, পশ্চিমবঙ্গে একজন নারী মুখ্যমন্ত্রী আছেন, তিনি থাকতেও সেখানে সন্দেশখালীর মতো একটা জঘন্য ঘটনা ঘটেছে। একবার ভারতীয় জনতা পার্টিকে বিজয়ী করে পশ্চিমবঙ্গের সরকারে নিয়ে আসুন, তারপর আমরা দেখবো কি করে সন্দেশখালীর মতো ঘটনা পশ্চিমবঙ্গে ঘটে।

এনআরসি ও সিএএ নিয়ে বলতে গিয়ে রাজনাথ বলেন, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান থেকে যারা ভারতে আশ্রয় নিয়েছিলেন। তাদের জন্য আমরা সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বানিয়েছি। আর মমতা দিদি বলছে এই আইন আমরা পশ্চিমবঙ্গে কার্যকর হতে দেবো না। এবার আমরা বলতে চাই, মমতা দিদি আপনি পশ্চিমবঙ্গ সরকার থেকে চলে যাচ্ছেন, আর ভারতীয় জনতা পার্টির সরকার এখানে তৈরি হবে। আমরা সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন পশ্চিমবঙ্গে বাস্তবায়ন করবো। কেউ রুখতে পারবে না।

ডিডি/এমএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।