জলদস্যুতা ঠেকাতে ভাসমান অস্ত্রগার


প্রকাশিত: ১১:৫২ এএম, ১৯ ডিসেম্বর ২০১৪

ওমান উপসাগরে এমএনজি রেজলুশন নামে একটি ভাসমান অস্ত্রাগার নোঙর করে রাখা হয়েছে। পূর্ব আফ্রিকার উপকূলে ব্যাপক জলদস্যুতার মুখে বেসরকারি নিরাপত্তা বাহিনীগুলো যাতে এসব অস্ত্র ব্যবহার করতে পারে সে জন্যে এই অস্ত্রের মজুদ তৈরি।

আফ্রিকার সোমালিয়ার উপকূলে সবচেয়ে বেশি দস্যুতার ঘটনা ঘটে ২০০৮ এবং ২০১০ সালের মধ্যে। আর তখন বেসরকরি সিকিওরিটি ফার্মগুলোও তাদের তৎপরতা বাড়িয়ে দেয়।

সমুদ্রপথকে রক্ষা করার জন্য বিভিন্ন দেশ তাদের নৌবাহিনী ব্যবহার করলেও প্রয়োজনের তুলনায় তা যথেস্ট ছিল না। তারই সুযোগে এই ফার্মগুলো সমুদ্রগামী জাহাজের যাত্রাপথে নিরাপত্তা দিতে শুরু করে।

এর আগে এ ধরনের অস্ত্র ভূমিতে মজুদ রাখা হতো। কিন্তু শ্রীলংকার মতো কিছু সরকার এত বিপুল পরিমান অস্ত্র, গোলাবারুদ, গুলিরোধক বর্ম, রাতে দেখার জন্য নাইট ভিশন গগলস্‌ তাদের দেশে মধ্যে মজুদ করার ব্যাপারে আপত্তি জানাতে শুরু করে।

কারণ তাদের ভয় ছিল এগুলো বেহাত হতে পারে। এরপরই সমুদ্রের মধ্যে জুড়ে এই অস্ত্রভান্ডার গড়ে তোলার কথা চিন্তাভাবনা করা হয়।

এখন ছোট ছোট জাহাজকে অস্ত্রভান্ডারে পরিনত করে ভারত মহাসাগরের উপকূল বরাবর আন্তর্জাতিক জলসীমায় মোতায়েন রাখা হয়েছে।

বেসরকারি সিকিওরিটি ফার্মগুলো এখানে অস্ত্র জমা রাখে। জলদস্যুতার খবর পেলে তারা এখান থেকে অস্ত্র সংগ্রহ করে এবং কাজের শেষে সেই অস্ত্র এখানে ফেরত দেয়।

ভারত মহাসাগরের যেসব এলাকায় জলদস্যুতার ঝুঁকি বেশি তার আশেপাশে এই ভাসমান অস্ত্রভান্ডার নোঙর করে আছে। -বিবিসি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।