ইসরায়েল-হামাস বন্দি বিনিময়
৪ নারী সেনার বিনিময়ে মুক্তি পেলেন ২০০ ফিলিস্তিনি
গাজা থেকে চারজন ইসরায়েলি নারী সেনাকে মুক্তি দিয়েছে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ গোষ্ঠী হামাস। যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় শনিবার (২৫ জানুয়ারি) গাজার প্যালেস্টাইন স্কোয়ারে তাদের রেড ক্রস কর্মকর্তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
হামাস জানিয়েছে, মুক্তি পাওয়া চার সেনা হলেন কারিনা আরিয়েভ, ড্যানিয়েলা গিলবোয়া, নামা লেভি এবং লিরি আলবাগ। তারা ইসরায়েলি সামরিক পোশাক পরিহিত অবস্থায় ছিলেন এবং মুক্তির সময় ভিড় করা জনতার উদ্দেশে হাত নাড়েন।
আরও পড়ুন>>
এই বন্দি বিনিময়ের অংশ হিসেবে ২০০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে ইসরায়েল। এদের মধ্যে ১২১ জন আজীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত, বাকি ৭৯ জনও দীর্ঘ মেয়াদে সাজাভোগ করছিলেন। মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে ৭০ জনকে মিশরে ৪৮ ঘণ্টা অবস্থানের পর তিউনিসিয়া, আলজেরিয়া ও তুরস্কে পাঠানো হবে।
এদিন ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি দেওয়ার আগে হামাস ও ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদের বহু যোদ্ধা এবং সাধারণ ফিলিস্তিনিরা ঘটনাস্থলে সমবেত হন। রেড ক্রস ও হামাসের প্রতিনিধিরা মুক্তি চুক্তির নথিপত্র স্বাক্ষর করেন।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, মুক্তি পাওয়া সেনাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, আরবেল ইয়েহুদ নামে এক জিম্মিকে মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত উত্তর গাজায় ফিলিস্তিনিদের ফিরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে না। হামাস জানিয়েছে, ইয়েহুদকে আগামী শনিবার মুক্তি দেওয়া হবে।
এদিকে, মুক্তিপ্রাপ্ত ফিলিস্তিনি বন্দিদের অনেকেই পশ্চিম তীরের পথে রওয়ানা দিয়েছেন। আল-জাজিরা জানিয়েছে, মুক্তিপ্রাপ্ত ফিলিস্তিনিদের বহনকারী বাসগুলো এরই মধ্যে রামাল্লাহর পশ্চিমে বেইতুনিয়া শহরে পৌঁছেছে।
حافلات الأسرى المحررين من أسرى المؤبدات والمحكوميات العالية تتحرك باتجاه بلدة بيتونيا غرب رام الله. pic.twitter.com/ku1PdmxkRt
— المركز الفلسطيني للإعلام (@PalinfoAr) January 25, 2025
সশস্ত্র ব্যক্তিদের পাহারায় থাকা বাসগুলোকে ঘিরে ফিলিস্তিনিদের বিজয়োল্লাস করতে দেখা গেছে। ইসরায়েলের কারাগার থেকে ছাড়া পাওয়া ২০০ ফিলিস্তিনির মধ্যে ১১৪ জন রয়েছেন এসব বাসে।
যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে ইসরায়েল নেটজারিম করিডোর থেকে সেনা প্রত্যাহারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, যা উত্তর গাজার বাসিন্দাদের বাড়ি ফিরে যাওয়ার পথ সুগম করবে। এছাড়া, রাফাহ সীমান্ত পথ খুলে দেওয়া হবে যাতে মানবিক সাহায্য এবং অন্যান্য পণ্য সরবরাহ করা যায়।
সূত্র: আল-জাজিরা
কেএএ/