কঠোর পরিশ্রম করে বিসিএস ক্যাডার হয়েছি: সোহান

মমিন উদ্দিন
মমিন উদ্দিন মমিন উদ্দিন , লেখক
প্রকাশিত: ০৩:০৪ পিএম, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩

মো. সোহান সিদ্দিকী ৪১তম বিসিএসে শিক্ষা ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন। তার জন্ম ১৯৯৫ সালের ২০ ডিসেম্বর ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বাদেডিহি গ্রামে। তার বাবা মো. আকবর আলী ছিদ্দিক এবং মা তৃপ্তি সিদ্দিকী। তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতকসহ স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন।

সম্প্রতি জাগো নিউজের সঙ্গে তিনি বিসিএস জয়, ক্যারিয়ার পরামর্শ ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলেছেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মমিন উদ্দিন—

জাগো নিউজ: বিসিএসে ক্যাডার পাওয়ার অনুভূতি কেমন?
মো. সোহান সিদ্দিকী: আগস্ট মাসের ৩ তারিখে যখন রেজাল্ট দেবে শুনলাম; সেদিন সকাল থেকেই মনের মধ্যে এক ধরনের উত্তেজনা বোধ করছিলাম। সন্ধ্যার দিকে রেজাল্ট দেখে ছোট ভাই আমাকে ফোন দিয়ে জানায় শিক্ষা ক্যাডার হয়েছে। সেই মুহূর্তের নিজের অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। নিজে সিওর হওয়ার জন্য রেজাল্ট শিট নামিয়ে সার্চ দিতেই আমার রোলটা উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। সাথে সাথেই খুশিতে কেঁদে ফেলি। আব্বু-আম্মুকে জড়িয়ে ধরি। আব্বু ও আমি দুজনেই কান্না করেছি। যে লাইফ লিড করার স্বপ্ন দেখেছি; সে স্বপ্নই যেন পূরণ হলো।

আরও পড়ুন: যেভাবে শিক্ষা ক্যাডার হলেন হামিদুল্লাহ

জাগো নিউজ: আপনার পড়াশোনায় কোনো প্রতিবন্ধকতা ছিল?
মো. সোহান সিদ্দিকী: ৪০তম বিসিএস প্রিলি অকৃতকার্য হওয়ার পারে অনেক হতাশ হয়েছিলাম, ভেঙে পড়েছিলাম। সেই সময়টাতে আমার পরিবার আমাকে সাহস, শক্তি সঞ্চার করেছে। একজন বেকারের ঢাকা শহরে পড়াশোনা করা খুবই কষ্টের ও চ্যালেঞ্জিং। সংসারে আর্থিক অনটন থাকা সত্ত্বেও আব্বু-আম্মু আমাকে নির্ভয় ও আর্থিক সাপোর্ট দিয়ে গেছেন। টিউশনি, স্ট্রাগল করেই পড়াশোনা করতে হয়েছে।

জাগো নিউজ: বিসিএসের স্বপ্ন দেখেছিলেন কখন থেকে?
মো. সোহান সিদ্দিকী: অনার্সের শেষ সেমিস্টার থেকেই স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিলাম একদিন বিসিএস ক্যাডার হবো। এ জন্য অন্য চাকরিতে অ্যাপলিকেশন করতাম না।

জাগো নিউজ: বিসিএস যাত্রার গল্প শুনতে চাই—
মো. সোহান সিদ্দিকী: প্রথমে অগোছালো ভাবে শুরু করলেও প্রিলি, রিটেন, ভাইবার সিলেবাস দেখে যে টপিকগুলো মিল আছে; সেই টপিকগুলো ভালো ভাবে আয়ত্ত করার চেষ্টা করি। প্রিলির জন্য যে বইগুলো পড়তাম, তা ভালো ভাবে দক্ষতা অর্জনের চেষ্টা করতাম। বার বার রিভাইস দিতাম আর পরীক্ষা দিতাম। এতে ভুলের সংখ্যা কম হতো। রিটেনের জন্য ডাটা, কোটেশন, চার্ট নোট করে প্রতিদিন পড়তাম। তাছাড়া রিটেনের জন্য নিজের মত করে সর্ট নোট করেছিলাম; যাতে পরীক্ষার আগে রিভিশন দেওয়া যায়। শাহরুখ খানের মুভির একটি ডায়ালগ মাথায় থাকতো—যদি কোনো কিছু মন থেকে চাওয়া হয়, তাহলে পৃথিবীর সব কিছু সেই জিনিসটি পেতে সাহায্য করে। আমি মন থেকে চেয়েছি, কঠোর পরিশ্রম করেছি। ফলস্বরূপ বিসিএস ক্যাডার হয়েছি।

আরও পড়ুন: বাবার অনুপ্রেরণায় বিসিএস ক্যাডার মানস

জাগো নিউজ: কারো কাছ থেকে অনুপ্রেরণা পেয়েছেন?
মো. সোহান সিদ্দিকী: সিনিয়র ভাই-আপুরা যারা ক্যাডার হয়েছেন; তাদের দেখতাম অনেক সম্মান ইউনিভার্সিটিতে। তাদের দেখেই অনুপ্রেরণা পেতাম। তাছাড়া নিজের লক্ষ্য ঠিক করেছিলাম যে, বিসিএস ক্যাডারই হবো একদিন।

জাগো নিউজ: আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
মো. সোহান সিদ্দিকী: ৪৪তম বিসিএসের রিটেন দেওয়া আছে। সামনে ৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। তাছাড়া মানুষ হিসেবে একজন বিনয়ী, সৎ, দেশপ্রেমিক হতে চাই।

এসইউ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।