নিউনেসকে তরুণদের ব্র্যান্ড বানাতে চান নিয়াজ মোর্শেদ
শব্দটি নিউনেস (Newness)! পৃথিবী যখন ঘোর অন্ধকারে ২০২০ সালে। যখন করোনায় বিশ্ব থেমে গিয়েছিল অনিশ্চয়তায়। ঠিক তখনই এর প্রতিষ্ঠাতা নিয়াজ মোর্শেদ দিন-রাত ভাবতে থাকেন, চলমান অনলাইন সেবার মাধ্যমে কীভাবে আরও ভালো কিছু করা যায়।
শত বিপত্তি পেরিয়ে বাংলাদেশে তখন ই-কমার্সের জয়জয়কার চলছে। এমন অবস্থায় অফলাইন আর অনলাইন মার্কেটের পরিস্থিতি বিবেচনায় একদল তরুণ নিয়ে শুরু করলেন নিজের উদ্যোগ নিউনেস।
নিয়াজ ছিলেন মধ্যপ্রাচ্যের দেশ বাহরাইনে। সেখানে থেকে শুরু করেছিলেন আরেকটি অনলাইন ক্রয়-বিক্রয়ের প্লাটফর্ম ‘শপাইন’। ধীরে ধীরে সেবার মান বড় করে সৌদি আরব এবং দুবাইয়ে পূর্ণোদ্দমে সেবা দিয়ে যাচ্ছিলেন। তখন ভাবলেন, এবার নিজের দেশে নয় কেন?

সেই চিন্তা থেকেই নিজের দেশের মানুষের জন্য কিছু করার ইচ্ছায় ‘নিউনেস’র স্বপ্ন বুনলেন। বাংলাদেশের মানুষও যেন বিশ্বমানের পণ্য এবং পরিষেবার অন্তর্ভুক্ত হতে পারে, এ স্বপ্ন থেকে ৩০ জুলাই তাদের যাত্রা শুরু হয় বাংলাদেশে।
নিয়াজ মোর্শেদ বলেন, ‘নিউনেস এমন একটি প্ল্যাটফর্ম, যা বদলে দেবে আপনার অনলাইন শপিংয়ের অভিজ্ঞতা। কারণ আমাদের অ্যাডভান্সড টেকনোলজি নিশ্চিত করবে আপনাকে নিজের মতো উপস্থাপন করার ক্ষমতা। আইএস, অ্যান্ড্রোয়েড এবং ডেস্কটপে আমাদের এ শপিং প্ল্যাটফর্ম আছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা প্রস্তুত আছি ১০ হাজার ব্র্যান্ডের ২৫ লাখ বিশ্বমানের পণ্যের সাথে। পোশাক, কসমেটিক্স, জুয়েলারি, ইলেক্ট্রনিক্সসহ সব ধরনের পণ্যই আছে এ ওয়েবসাইটে। যা বদলে দেবে আপনার সম্পূর্ণ লাইফস্টাইল।’

এক অ্যাপে দেশি-বিদেশি হাজারো ব্র্যান্ডের পণ্যের সাথে পুরো দুনিয়া চলে আসবে ক্রেতার হাতের মুঠোয়। আপনার বয়স, চয়েস, কিংবা প্রোফেশন যেটাই হোক; বিশ্বমানের দেশি-বিদেশি ব্র্যান্ডের সব আসল পণ্য এবং ১৪ দিনের মধ্যে সুনিশ্চিত ক্যাশঅন ডেলিভারির সাথে খুব সহজেই সাজিয়ে নিতে পারবেন লাইফস্টাইল।
নতুন প্রজন্মকে বিশ্বমানের পণ্যের সাথে পরিচিত করা এবং ঝামেলাহীন টেকনোলজির মাধ্যমে মানুষের জীবনকে সহজ করার লক্ষ্যেই এর যাত্রা।
তরুণ এ উদ্যোক্তা বিশ্বাস করেন, মূলধনের পরিমাণ যা-ই হোক, ব্যবসায়িক বুদ্ধিতে যদি একদল পরিশ্রমী গড়া যায়, তবে অনেক সমস্যাই আর সমস্যা থাকে না।
ভবিষ্যতে সারাদেশে অফলাইনে মার্চেন্ট সেবা দিতে নানারকম কাস্টমার পয়েন্ট খোলার মাধ্যমে গ্রাহকসেবায় এক নাম্বারে থাকার লক্ষ্য তাদের।
এসইউ/এমএস