যে ৫ কারণে ফের অভিনেতা সিদ্দিকের রিমান্ড চায় পুলিশ
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকেন্দ্রিক গুলশান থানার ফার্নিচার কর্মচারী পারভেজ বেপারী হত্যা মামলায় পাঁচটি কারণ উল্লেখ করে অভিনেতা সিদ্দিকুর রহমানের দশ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেছে পুলিশ।
বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে এ বিষয়ে রিমান্ড শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা গুলশান থানার উপ-পরিদর্শক সামিউল ইসলাম গত ২৪ আগস্ট তার এই রিমান্ড আবেদন করেন। সিএমএম আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মুহাম্মদ শামসুদ্দোহা সুমন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, এ আসামি অত্যন্ত সুকৌশলে শাহজাদপুরের সুবাস্তু নজরভ্যালির সামনে উপস্থিত থেকে অর্থের যোগান দিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতাকে নিবৃত্ত করার জন্য এ ঘটনা ঘটায়। এজাহারনামীয় ২২৩নং আসামি হওয়ায় তার নেতৃত্বে এ মামলার ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়।
পাঁচটি কারণে তাকে এ মামলায় রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন। সেগুলো হলো- এক. মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ, দুই. এজাহারনামীয় পলাতক আসামিদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান পরিচালনা, তিন. ঘটনার অর্থের যোগানদাতা ও পরিকল্পনাকারীদের তথ্য সংগ্রহ ও তাদের গ্রেপ্তার, চার. ওই ঘটনায় নেতৃত্বদানকারীদের তথ্য সংগ্রহ ও তাদের গ্রেপ্তার, পাঁচ. ঘটনায় ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধারের জন্য জিজ্ঞাসাবাদ। এই পাঁচ কারণে তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।
এর আগে, গত ২৯ এপ্রিল বেইলি রোড দিয়ে যাওয়ার সময় কিছু যুবক সিদ্দিককে আটক করে। মারধর করে রমনা মডেল থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। এর পরে তাকে গুলশান থানায় হস্তান্তর করে রমনা মডেল থানা পুলিশ।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় গত ১৯ জুলাই গুলশান থানার সুবাস্তু নজরভ্যালির সামনে বন্ধুদের সঙ্গে আন্দোলনে অংশ নেন ফার্নিচার কর্মচারী পারভেজ বেপারী। জুমার নামাজের পর আসামিদের ছোঁড়া গুলিতে আহত হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় পারভেজের বাবা মো. সবুজ ২ জুলাই গুলশান থানায় মামলা করেন।
এমআইএন/এমআরএম/জেআইএম