ধর্ম উপদেষ্টা

প্রথম আলো-ডেইলি স্টারে হামলায় জড়িত কয়েকজনের পরিচয় শনাক্ত

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২:৫৯ পিএম, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫
দৈনিক প্রথম আলোর ভবনে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়

দৈনিক প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে আগুন দেওয়ার ঘটনায় জড়িত কয়েকজনের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন।

রোববার (২১ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা এ কথা জানান।

দুটো পত্রিকায় আগুন দেওয়া হলো। এখনো মব জাস্টিস বন্ধ হয়নি- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে উপদেষ্টা বলেন, আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। কথা হচ্ছে যে সব স্থাপনায় আগেভাগে পুলিশ নিয়ন্ত্রণ করা, এটা তো একটা কঠিন কাজ। কখন কোন দিকে হামলা হয় এটা অনেক সময় আমরা জানতে পারি না। এজন্য আমরা সবসময় এটাকে নিরুৎসাহিত করি।

তিনি বলেন, প্রথম আলো এবং ডেইলি স্টারে যারা আগুন দিয়েছে আমি গোয়েন্দা রিপোর্ট থেকে জানতে পেরেছি তাদের কিছু ছবি, তাদের কিছু পরিচয় আমরা এরই মধ্যে শনাক্ত করেছি। তাদেরও গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জন্য আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি।

আরও পড়ুন
প্রথম আলো-ডেইলি স্টার অফিসে আগুন-ভাঙচুর 
সাংবাদিক নূরুল কবীরকে হেনস্তা 

ছায়ানটে হামলা হয়েছে। শিবিরের কেউ কেউ বলেছে যে এ ধরনের প্রতিষ্ঠান থাকা উচিত নয়- এ বিষয়ে খালিদ হোসেন বলেন, না, কে কী বললো সেটা তো আমাদের এখতিয়ার নয়। তবে কথা হচ্ছে যে আমরা যেহেতু সরকারে আছি, সরকার অনুমোদিত কোনো প্রতিষ্ঠানে কেউ আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেবে, অথবা মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করবে, এটা কোনোদিন আমাদের কাছে কাম্য নয়। আমরা এটাকে অন্যায় ও গর্হিত কাজ বলে বিবেচনা করি। এদের আইনের আওতায় আনতে আমরা বদ্ধপরিকর।

প্রথম আলো, ডেইলি স্টার, ছায়ানটসহ সারাদেশের বিভিন্ন স্থানে একই রাতে হামলা হয়েছে। এখানে গোয়েন্দা ব্যর্থতা ছিল কি না- এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা গোয়েন্দা ব্যর্থতা- সরাসরি এভাবে আমার বলাটা উচিত নয়।

যেহেতু আপনি উপদেষ্টা পরিষদে আছেন এবং বিষয়গুলো আলোচনা করছেন- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, এটা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্যাপার। তাছাড়া একসঙ্গে কোন প্রতিষ্ঠানে হামলা হবে, এটা আগেভাগে তো জানা মুশকিল। যেমন কাল আমার কাছে একটা রিপোর্ট আসলো গোয়েন্দা থেকে কাজী নজরুল ইসলামের সমাধির পাশে যখন হাদিকে দাফন করা হবে, পাশে চারুকলা ইনস্টিটিউট আছে। আমরা মুহূর্তের ভেতরে জানিয়ে দিয়েছি গোয়েন্দাদের, রিপোর্ট আছে। আমরা পদক্ষেপ গ্রহণ করার কারণে ওখানে কোনো ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেনি।

বিদেশ থেকেও উসকানি দেওয়া হচ্ছে- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে উপদেষ্টা বলেন, এখন বাইরে থেকে যদি কেউ কোনো মন্তব্য করে এটা তো বাংলাদেশ সরকারের নিয়ন্ত্রণে নেই। এটার জন্য তো মেটা এবং ইউটিউব কর্তৃপক্ষ আছে। এটা তো সরাসরি আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না। বাংলাদেশের গভর্নমেন্টের ওপর নেই। এখন ওপেন প্ল্যাটফর্ম। মনে করেন বাংলাদেশ থেকেও তো অনেক আমাকে প্রতিদিন গালি দেয়।

আরএমএম/কেএসআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।