মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনা খালাস পাবেন, আশা আইনজীবীর

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:৪১ পিএম, ০৮ অক্টোবর ২০২৫
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা/ ফাইল ছবি

গণঅভ্যুত্থান দমনে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খালাস পাবেন বলে মনে করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী মো. আমির হোসেন। একই মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালও খালাস পাবেন বলে মনে করেন রাষ্ট্রীয় খরচে নিযুক্ত এই আইনজীবী।

তিনি বলেন, (গণঅভ্যুত্থান দমনে) নির্দেশদাতা হিসেবে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে যেসব প্রমাণ হাজির করা হয়েছে, সেগুলো ভুয়া। তবে ট্রাইব্যুনাল কী মনে করবেন, তা জানি না।

বুধবার (৮ অক্টোবর) বিকেলে ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

আইনজীবী আমির হোসেন বলেন, এ কথাও সত্য সাফাই সাক্ষী (ডিডব্লিউ) দিতে পারলে অনেক কিছু বেরিয়ে আসতো। উনারা (শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামাল) থাকলেও অনেক কিছু বেরিয়ে আসতো। উনারা নেই দেখে অনেক কিছু বের করতে পারছি না।

তিনি বলেন, এ মামলার আসামি শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান খালাস পাবেন বলে মনে করি। আর সেটা প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি।

এক প্রশ্নের জবাবে আমির হোসেন বলেন, সামনে আর প্রমাণ করার কিছু নেই। যুক্তিতর্কে বলতে পারবেন, তবে প্রমাণের জায়গা আর নেই। প্রমাণ করতে হলে ডিডব্লিউ (আসামিপক্ষে সাফাই সাক্ষী হাজির) দিতে হবে।

আরও পড়ুন
শেখ হাসিনার এক মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ, যুক্তি-তর্ক ১২ অক্টোবর 
গুমের ঘটনায় হাসিনা-তারেক সিদ্দিকীসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে ফরমাল চার্জ 

এর আগে, এদিন তিনজনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের সর্বশেষ ও ৫৪তম সাক্ষী এবং মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) মো. আলমগীরের জেরা শেষ হয়। সাক্ষীর জেরা শেষ হওয়ার মধ্য দিয়ে জুলাই আগস্টে ছাত্র-জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন দমনের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হলো। এ মামলায় আগামী ১২ অক্টোবর রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক অনুষ্ঠিত হবে।

এই মামলায় শেখ হাসিনার পাশাপাশি অন্য দুই আসামি হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। এর মধ্যে সাবেক আইজিপি মামুন রাজসাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দিয়েছেন।

এ মামলার প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন তদন্ত সংস্থার উপ-পরিচালক মো. জানে আলম খান। পরে তদন্ত করেন উপ-পরিচালক মো. আলমগীর (বিপিএম)। সার্বিক সহযোগিতা করেন বিশেষ তদন্তকারী কর্মকর্তা তানভীর হাসান জোহা। এ ঘটনায় তদন্ত কর্মকর্তা মো. আলমগীর চলতি বছরের ১২ মে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। পরবর্তীতে ৩১ মে সম্পূরক অভিযোগ দেওয়া হয়। গত ১ জুন আনুষ্ঠানিক অভিযোগ উপস্থাপন করা হয়।

গত ১০ জুলাই এ মামলায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) গঠনের আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে সাবেক আইজিপি মামুন নিজেকে ‘অ্যাপ্রুভার’ (রাজসাক্ষী) হিসেবে যে আবেদন করেন, তা মঞ্জুর করেন আদালত। এরপর ৩ আগস্ট থেকে মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়ে আজ শেষ হলো।

এফএইচ/কেএসআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।