মেয়েকে ধর্ষণ : বাবার যাবজ্জীবন

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২:৫৮ পিএম, ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১

রাজধানীর হাজারীবাগ এলাকায় সাত বছরের মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় বাবা আক্তার সরদারকে (৪৭) যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাবাস করতে হবে।

রোববার ঢাকার ৫নং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের সামছুন নাহার এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার আগে আসামিকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

মামলায় বাদী পক্ষকে সহযোগিতা করেন ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার (ওসিসি)।

ওসিসির আইন কর্মকর্তা অ্যাডভোকেট ফাহমিদা আক্তার রিংকি বলেন, রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। ন্যায়বিচার পেয়েছি। সমাজে এ ধরনের ঘৃণ্য ঘটনা যেন না ঘটে তা এই রায় দৃষ্টান্ত হিসেবে থাকবে।

রায় ঘোষণার পর আসামি আক্তার বলেন, আমাকে এ মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। আমার বৌ তার দুলাভাইয়ের সঙ্গে সম্পর্ক গড়েছে। আমার কাছে ৫ লাখ টাকা ও ৫ কাঠা জমি নেয়ার জন্য আমার বৌ মেয়েকে দিয়ে ফাঁসিয়েছে। আমি হলফ করে বলছি আমার মেয়েকে আমি ধর্ষণ করিনি। এ মিথ্যা মামলার বিচার আল্লাহ করবে।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০১৮ সালের ১৫ এপ্রিল শিশুর মা পাশের বাসায় শবে বরাতের নামাজ পড়তে গেলে বাবা আক্তার সরদার শিশুটিকে ধর্ষণ করে। এ ঘটনার ১৮দিন পর ওই বছরের ৫ মে শিশুর মা বাদী হয়ে স্বামীর বিরুদ্ধে হাজারীবাগ থানায় ধর্ষণ মামলা করেন। পরে ওইদিন পুলিশ আটক করে আদালতে পাঠালে আক্তার মেয়েকে ধর্ষণের দায় স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এরপর ওই বছরের ১৪ নভেম্বর আক্তারকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে হাজারীবাগ থানা পুলিশ। ২০১৯ সালের ৪ এপ্রিল আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। এ মামলায় মোট ৯ জন সাক্ষীর সবাই সাক্ষ্য দেন।

জেএ/এসএইচএস/জেএইচ/এমএস/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।