আইনজ্ঞ মাহমুদুল ইসলামের মৃত্যুতে আইনজীবীদের শোক
সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল, দেশের শীর্ষস্থানীয় আইনজীবী ও সংবিধান বিশেষজ্ঞ মাহমুদুল ইসলামের মৃত্যুতে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা ও সিনিয়র আইনজীবীরা শোক জ্ঞাপন করেছেন।
মঙ্গলবার সকালে আপিল বিভাগে বিচারিক কার্যক্রম শুরু হলে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, সিনিয়র আইনজীবী মাহমুুদুল ইসলাম সোমবার রাতে মারা গেছেন। এ পর্যায়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘উই আর শকড’।
সোমবার রাত ১২টায় রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। মৃত্যুকালে মাহমুদুল ইসলামের বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। তিনি স্ত্রী ও দুই ছেলে রেখে গেছেন।
পারিবারিক সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে ফুসফুস ও কিডনির সমস্যাসহ নানা রোগে ভুগছিলেন মাহমুদুল ইসলাম। তার দুই ছেলে আসিফ ইসলাম ও আরিফ ইসলাম। পেশায় প্রকৌশলী দুই ছেলেই কানাডায় রয়েছেন। ছেলেরা বুধবার দেশে ফিরবেন। এরপর সুপ্রিম কোর্টে জানাজা শেষে মাহমুদুল ইসলামকে রংপুরে নিজের বাড়িতে দাফন করা হবে।
এই সংবিধান বিশেষজ্ঞর মুত্যুতে শোক জানিয়ে স্মৃতিচারণ করেছেন সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার এম. আমীর উল ইসলাম, সিনিয়র আইনজীবী ও সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদসহ অনেকেই।
আমীর উল ইসলাম বলেন, মাহমুদুল ইসলামের মৃত্যুতে আইন অঙ্গনের বিশাল ক্ষতি হয়ে গেল। এ ক্ষতি পূরণ করা অনেক কঠিন হবে। তিনি বলেন, আমি তার মৃত্যুতে ব্যক্তিগতভাবে শোক প্রকাশ করছি। তিনি বলেন, দেশ ও জাতি একজন দক্ষ ও যোগ্য আইনজীবীকে হারালো।
ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বলেন, মাহমুদুল ইসলামের মৃত্যুতে জাতি হারালো এক কিংবদন্তি আইনজ্ঞকে। তিনি বলেন, আমার শ্রদ্ধেয় সিনিয়র মাহমুদুল ইসলামের মৃত্যুতে আমি শোকাহত। আমি তার রুহের মাগফিরাত কামনা করি।
তিনি আরো বলেন, মাহমুদুল ইসলাম সততা দক্ষতা ও যোগ্যতার সঙ্গে অ্যাটর্নি জেনোরেলের দায়িত্ব পালন করেছেন। মাহমুদুল ইসলাম সংবিধান বিষয়ে পান্ডিত অর্জন করেছিলেন। সংবিধানসহ আইনি অঙ্গনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ বই মাহমুদুল ইসলাম লিখে গেছেন। যে বইগুলো আইনজীবীরা পড়লে অনেক উপকৃত হবেন বলেও মন্তব্য করেন সাবেক এই আইনমন্ত্রী।
এদিকে জাতীয়তাবাদী যুব আইনজীবী সমিতিও মাহমুদুল ইসলামের মৃত্যুর খবরে শোক জানিয়েছে। সংগঠনের সভাপতি অ্যাডভোকেট মোহাম্মাদ ফারুক হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল্লা আল বাকী গণমাধ্যমে এক শোকবার্তা পাঠিয়েছেন।
শোক বার্তায় তারা বলেন, মাহমুদুল ইসলামের মৃত্যুতে জাতি হারালো সৎ দক্ষ ও যোগ্য আইনজ্ঞকে। তার মৃত্যুতে আইনাঙ্গনে যে ক্ষতি হলো তা সহজেই পূরণ হবার নয়।
এফএইচ/জেএইচ/এমএস