কায়সার কামালের মন্তব্য

এতদিন গায়েবি মামলা করতো পুলিশ, এখন কিছু কোর্ট গায়েবি রায় দিচ্ছে

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:১৯ পিএম, ২১ নভেম্বর ২০২৩

মৃত ও গুম হওয়া ব্যক্তির নামে রায় দিয়েছে, বিশ্বে এমন কোনো নজির নেই বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ও বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।

তিনি বলেছেন, পুলিশ এতদিন গায়েবি মামলা করতো। এখন দুঃখজনকভাবে নিম্ন আদালতের কিছু কিছু কোর্ট গায়েবি রায় দিচ্ছে।

মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির দক্ষিণ হলে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।

তিনি বলেন, ইংরেজিতে একটি কথা আছে, জাস্টিস হারিড ইজ জাস্টিস বারিড। এ কথাটা যদিও অনেক আগে বিখ্যাত একজন বলেছিলেন। কিন্তু এখন বাংলাদেশের ক্ষেত্রে অক্ষরে অক্ষরে প্রযোজ্য। যখন একজন ল’ইয়ার তার ক্লায়েন্টকে ডিফেন্ড করবেন, সেজন্য সময়, সুযোগ এবং লিগ্যাল প্রসিডিউর মেন্টেইন করা উচিত। দুর্ভাগ্যজনকভাবে বিচারিক আদালত সে সুযোগ থেকে বঞ্চিত করছে। অর্থাৎ উনারা তড়িঘড়ি করে মনে হচ্ছে কারো নির্দেশে এ রায়গুলো দিচ্ছেন। আইনি সহায়তা অব্যাহত আছে। কিন্তু বিচারের বাণী আজ নিভৃতে কাঁদে। আমাদের আইনজীবীরা পর্যাপ্ত সুযোগ পাচ্ছেন না। একতরফা রায়গুলো হচ্ছে রাজনৈতিক বিবেচনায়।

রাজনৈতিক মামলায় গত ২ মাসে ঢাকার আদালতে ২১ মামলায় বিএনপির ২৭১ জন নেতাকর্মীকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আর গত ১ বছরে ২৯টি মামলায় ৩০৪ জন নেতাকর্মীকে কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। চার বছর আগে মারা যাওয়া বিএনপি নেতা আবু তাহের দাইয়া এবং ১০ বছর আগে গুম হওয়া সাজেদুল ইসলাম সুমন, ৮ বছর আগে গুম হওয়া আমিনুল ইসলাম জাকিরকে সাজা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। এসময় উপস্থিত ছিলেন ফোরামের সভাপতি ও সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী, আইনজীবী সুব্রত চৌধুরী, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক বদরুদ্দোজা বাদল, রুহুল কুদ্দুস কাজল, আইনজীবী ফোরাম সুপ্রিম কোর্ট ইউনিটের সভাপতি আব্দুল জব্বার ভুইয়া, সাধারণ সম্পাদক গাজী মো. কামরুল ইসলাম সজল, ইউনাইটেড ল’ইয়ার্স ফ্রন্টের সমন্বয়ক সৈয়দ মামুন মাহবুব, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সহ-সভাপতি জগলুল হায়দার আফ্রিক, যুগ্ম মহাসচিব গাজী তৌহিদুল ইসলাম, আব্দুল্লাহ আল মাহাবুব ও ব্যারিস্টার একেএম এহসানুর রহমানসহ শতাধিক আইনজীবী।

আরও পড়ুন>> একদিনে বিএনপির সম্মুখসারির ৫ নেতাসহ ১৩৬ জনের সাজা

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়েছে, আইনজীবী হিসেবে সাজা প্রদানকৃত প্রতিটি মামলা পর্যালোচনায় আমরা দেখতে পেয়েছি, সাজাপ্রাপ্ত রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে কোনোরূপ অপরাধের সংশ্লিষ্টতা নেই। কোনো ফৌজদারি অপরাধ প্রমাণ করতে হয় সাক্ষ্য-প্রমাণের দ্বারা। অধিকাংশ মামলায় সাক্ষী হিসেবে শুধু পুলিশ সদস্যকে হাজির করিয়ে সাজা প্রদান করা হয়েছে। কোনো নিরপেক্ষ সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়নি। এমনকি ফৌজদারি কার্যবিধিতে বর্ণিত বিচারিক স্তর সমূহও অনুসরণ করা হয়নি। ফলে যথাযথ বিচারিক প্রক্রিয়া অনুসরণ না করেই তড়িঘড়ি করে বিএনপির নেতাদের সাজা প্রদান করা হয়েছে।

এফএইচ/এমএইচআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।