নদী দখল করে মাছ চাষ: নবগঙ্গার বাঁধ অপসারণের নির্দেশ
ঝিনাইদহে নবগঙ্গা নদীতে আড়াআড়ি দেওয়া বাঁধ অপসারণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে সীমানা জরিপ করে দখলকারীদের তালিকা দাখিল করতে জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জনস্বার্থে দায়ের করা এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রুলসহ এই আদেশ দেন।
রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। তাকে সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট সঞ্জয় মন্ডল। রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
সম্প্রতি জাতীয় দৈনিকে এ বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ঝিনাইদহে প্রবহমান নবগঙ্গা নদীর আড়াই কিলোমিটারে সাত জায়গায় আড়াআড়ি মাটির বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করা হচ্ছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, নদীর ওই অংশের শ্রেণি পরিবর্তন করে চাঁদপুর বাঁওড় নামকরণ করা হয়েছে। এরপর ইজারা নিয়ে সেখানে মাছ চাষ করা হচ্ছে। এর সঙ্গে স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা জড়িত।
নবগঙ্গা নদী জেলার হরিণাকুণ্ডর হামিরহাটি, চাঁদপুর, হাকিমপুর ও সদর উপজেলার জাড়গ্রাম অংশে ইংরেজি অক্ষর ‘ইউ’ আকৃতি ধারণ করে ঝিনাইদহ শহরের দিকে প্রবাহিত হয়েছে। ইউ আকৃতির দৈর্ঘ্য প্রায় আড়াই কিলোমিটার।
এর মাঝ বরাবর পড়েছে জাড়গ্রাম। জাড়গ্রামের তিন পাশ দিয়ে প্রবাহিত নদীটি। এখানে নদীর সাত জায়গায় মাটির বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন যুক্ত করে হাইকোর্টে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে রিট করা হয়।
আইনজীবী মনজিল মোরসেদ জানান, সব বাঁধ অপসারণ, দখলকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বলেছেন হাইকোর্ট। এছাড়া ভবিষ্যতে যাতে দখল করতে না পারে এবং সিএস/আরএস অনুসারে নদীর হামিরহাটি, চাঁদপুর, হাকিমপুর, জাড়গ্রাম অংশে জরিপ ও দখলকারীদের তালিকা করতে নির্দেশ দিয়েছেন। ৬০ দিনের মধ্যে তা দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
এফএইচ/কেএসআর/জেআইএম