পূর্বাচল আবাসিক প্রকল্পের অবৈধ সাইনবোর্ড অপসারণের নির্দেশ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৬:৩৫ পিএম, ২৬ মে ২০২৪
ফাইল ছবি

নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরের পূর্বাচল সরকারি আবাসিক প্রকল্পের আশপাশে সরকারের অনুমতিব্যতীত অবৈধভাবে গড়ে ওঠা আবাসিক প্রকল্পে থাকা সাইনবোর্ড অপসারণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

আগামী দুই মাসের মধ্যে রূপগঞ্জ এবং কালীগঞ্জের বিভিন্ন জায়গায় নিম্নোক্ত আবাসন কোম্পানিগুলোর সাইনবোর্ড অপসারণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আদেশ বাস্তবায়ন করে নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও পুলিশ সুপার (এসপি) এবং গাজীপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও পুলিশ সুপারকে (এসপি) আগামী ২৯ জুলাইয়ের মধ্যে অগ্রগতি প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেন।

রোববার (২৬ মে) হাইকোর্টের বিচারপতি জেবিএম হাসান এবং বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে আজ রিটের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ।

তিনি জানান, ঢাকার পূর্বাচলে, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর জেলার কিছু অংশ নিয়ে সরকার পূর্বাচল টাউন প্রকল্প গ্রহণ করেন এবং বিভিন্ন ব্যক্তিদের বরাদ্দ দেন এবং এর কিছুদিন পরে উক্ত এলাকার আশপাশ কালীগঞ্জ ও রূপগঞ্জ উপজেলায় অনেকগুলো আবাসন প্রতিষ্ঠান আবাসন প্রকল্পের কার্যক্রম শুরু করে এবং বিভিন্ন স্থানে প্লট বিক্রির উদ্দেশ্যে বিভিন্ন জলাধারের মধ্যেও সাইনবোর্ড স্থাপন করে। এ নিয়ে বিভিন্ন মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশিত হয় এবং উল্লেখ করা হয় যে, উক্ত আবাসন কোম্পানিগুলোর বৈধতা নেই এবং এদের দ্বারা জনগণ বিভিন্নভাবে প্রতারিত হচ্ছে।

মিডিয়াই প্রকাশিত সংবাদকে গুরুত্ব দিয়ে জনস্বার্থে হিউম্যান রাইট ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) একটি রিট দায়ের করেন। ওই রিটের শুনানি নিয়ে আদালত রুল জারি করেন এবং এলাকায় অবস্থিত বিভিন্ন খাল, বিল ও জলাধার যাতে ভরাট করতে না পারে সে ব্যাপারে স্থিতিবস্থার আদেশ দেন। এরপরে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক (ডিসি) আদালতে অগ্রগতি প্রতিবেদন (কমপ্লায়েন্স রিপোর্ট) দাখিল করেন এবং বিভিন্ন অবৈধ সাইনবোর্ড উচ্ছেদের কথা আদালত অবহিত করেন।

অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ বলেন, আবাসন কোম্পানিগুলোর কোনো প্রকার অনুমোদন নেই। এমনকি বিভিন্ন জলাধার, খাল, পুকুরের মধ্যেও সাইনবোর্ড স্থাপন করে সেগুলো বিক্রির বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে। আইন অনুযায়ী এ সব জলাধার ভরাট করার কোন বিধান আইনে দেওয়া হয়নি।

ওই আদেশ বাস্তবায়ন করে নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও পুলিশ সুপার (এসপি) এবং গাজীপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও পুলিশ সুপারকে (এসপি) আগামী ২৯ জুলাইয়ের মধ্যে আদালতে অগ্রগতি প্রতিবেদন (কমপ্লায়েন্স রিপোর্ট) দাখিলের নির্দেশ দেন।

এইচআরপিবি পক্ষে পিটিশনার হলেন, অ্যাডভোকেট রিপন বাড়ৈই। বিবাদীরা হলেন পরিবেশ, হাউসিং ও ভূমি সচিব, রাজউক চেয়ারম্যান, ডিজি পরিবেশ এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক, ডিসি, এসপি গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জসহ মোট ১৪ জন।

তাকে সহায়তা করেন অ্যাডভোকেট সঞ্জয় মণ্ডল, অ্যাডভোকেট নাসরিন সুলতানা ও অ্যাডভোকেট সেলিম রেজা। রাজউকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট ইমাম হাসান। সরকারের পক্ষে ছিলেন ডিএজি মাইনুল হাসান।

এফএইচ/জেএইচ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।