৫০ ধরনের ক্যানসার ধরা পড়বে এক টেস্টেই!

লাইফস্টাইল ডেস্ক
লাইফস্টাইল ডেস্ক লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১:৩২ পিএম, ০৪ নভেম্বর ২০২২

ক্যানসার এক প্রাঘাতী ব্যাধি। প্রাথমিক অবস্থায় ক্যানসার শনাক্ত হলে রোগী সম্পূর্ণ সুস্থ হতে পারেন, তবে দেরি হয়ে গেলে মৃত্যুঝুঁকি বাড়ায় এই রোগ।

যদিও এখন ক্যানসারের চিকিৎসা ব্যবস্থা অনেকটাই উন্নত হয়েছে। এবার ক্যানসার নির্ণয়ের জন্য বিশেষ এক রক্ত পরীক্ষার কথা জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। যার মাধ্যমে ৫০ ধরনের ক্যানসার শনাক্ত করা সম্ভব।

এই টেস্টের নাম ‘মাল্টি ক্যানসার আর্লি ডিটেকশন টেস্ট’ বা (এমসিইডি)। আমেরিকার রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন টেস্টটি নিয়ে উৎসাহ দেখিয়েছেন।

এই রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে ৫০ ধরনের ক্যানসার (ব্লাড টেস্ট ফর ক্যানসার) সহজে ধরা পড়বে। এছাড়া মানুষের প্রাণও বাঁচবে সহজে।

বিশেষজ্ঞদের দাবি, ক্যানসার চিকিৎসায় বিরাট অবদান রাখবেন এই এমসিইডি টেস্ট। এই কাজে সাহায্য করছে আমেরিকার সরকার। তারা ১.৮ বিলিয়ন আমেরিকান ডলার খরচ করছে এই টেস্টের জন্য।

এমসিইডি কীভাবে কাজ করে?

শরীরে কোষ মরে যাওয়ার পর নিজের ডিএনএ’র ছাপ রক্তে ছেড়ে যায়। এমনকি টিউমারের কোষও সেই কাজটি করে। এই টেস্ট দেখবে টিউমারের কোষের ডিএনএ’র কতটা আছে রক্তে। সেই ডিএনএ পরীক্ষা করে জানা সম্ভব তা সাধারণ কোষ না ক্যানসারাস।

যদিও বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এই ধারণা নতুন নয়। এবার রক্তে টিউমার কোষের ডিএনএ খোঁজার কাজ এই প্রথম হচ্ছে না। এই পদ্ধতি এরই মধ্যে ব্যবহার হয়।

সেক্ষেত্রে অ্যাডভান্স স্টেজে থাকা ক্যানসার রোগীদের জন্য এই টেস্ট করা হয়। চিকিৎসকরা রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে দেখতে চান, ডিএনএ’তে কোনো মিউটেশন হয়েছে কি না।

এই পদ্ধতির ব্যবহার আগে থাকলেও এমসিইডি টেস্ট কিন্তু নতুন। কারণ আগের টেস্ট রোগ ধরতে পারে না। আসলে ক্যানসার কোষের ডিএনএ প্রথমে খুব বেশি পরিমাণে রক্তে থাকে না। এছাড়া স্বাভাবিক কোষের ডিএনএ আছে। এই দুই কারণে খুব সহজে ব্লাড টেস্টের মাধ্যমে রোগ নির্ণয় সম্ভব নয়।

রক্তের মধ্যে অস্বাভাবিক কোষের ডিএনএ থাকে। এই কোষের সঙ্গেও ক্যানাসারের কোষের মিল পাওয়া সম্ভব। ফলে রোগ নির্ণয় ঠিকমতো নাও হতে পারে। তাই আরও বেশি করে সতর্ক হয়ে নতুন প্রযুক্তি তৈরির চেষ্টা করেছেন বিজ্ঞানীরা।

এই টেস্ট কীভাবে করা হবে?

এটি জানার জন্য আরও সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। তারা এখন ব্যস্ত আছেন কখন টেস্ট করা হবে, কোন বয়সে টেস্ট করা হবে ইত্যাদি প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে।

এছাড়া চিকিৎসকরা কীভাবে এই টেস্টের ফলাফল বুঝবেন, এই নিয়েও কিছু কাজ বাকি। তাই ঠিক কবে এই প্রযুক্তি ব্যবহার সম্ভব হবে তা এখনো জানা যায়নি।

সূত্র: দ্য কনভারসেশন/এনডিটিভি/এমএসএন

জেএমএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।