আসিফ রাহীর স্বপ্ন রন্ধনশিল্পকে এগিয়ে নেওয়া

আসিফ রাহীর বেড়ে ওঠা পুরান ঢাকার অলিগলিতে। বাবা সামসুল আলম ব্যবসায়ী, মা রুমা আলম গৃহিণী। দুই ভাই-বোনের মধ্যে রাহী সবার বড়। মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিকে পড়েছেন ক্যামব্রিয়ান স্কুল অ্যান্ড কলেজে।
বাংলাদেশের আর দশজন তরুণের মতোই রাহীর ভাবনা ছিল চিকিৎসক বা প্রকৌশলী হওয়া। কিন্তু এ ভাবনা থেকে বেরিয়ে শেফ হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। এর জন্য রাহী বাংলাদেশ ও ভারতে রান্নার অনুশীলনও করেন।
আসিফ রাহী ছিলেন নিউজিল্যান্ড ডেইরি বাংলাদেশ আয়োজিত ডিপ্লোমা ডেজার্ট প্রতিযোগিতার একমাত্র ছেলে। এটি প্রায় ৩ মাসব্যাপী হয়েছিল। সরাসরি সম্প্রচার করেছিল একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল। এ প্রতিযোগিতা থেকে ২ লাখ টাকাও পুরস্কার পান।
আরও পড়ুন: ভালো কাজের বিনিময়েই খাবার মেলে যেখানে
তিনি দেশের বেশ কয়েকটি পাঁচ তারকা হোটেলে কাজ করেছেন। রান্নার জগতে সবচেয়ে বড় পুরস্কার ‘মিশেলিন স্টার’ অর্জনকারী একটি রেস্টুরেন্টে কাজ করেন। যেটি যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় অবস্থিত। এর আগে এ রেস্টুরেন্টে কোনো বাংলাদেশি কাজ করেননি।
আসিফ রাহী বলেন, ‘আমি মায়ের কাছ থেকে প্রথম রান্না শিখি। আমার বিশ্বাস, আমার হাতের রান্নার স্বাদও আমার মায়ের কাছ থেকেই পাওয়া। শেফ হওয়ার অনুপ্রেরণাও পেয়েছি আমার মায়ের কাছ থেকেই।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে শেফ হিসেবে ক্যারিয়ারকে ভালো চোখে দেখা হয় না। তারা ভাবেন রান্না মেয়েদের কাজ। রান্না যে একটা শিল্প, এটা তারা ভুলেই যান। আমি এ শিল্পটাকেই আমার রান্নার মাঝে ফুটিয়ে তুলতে চাই।’
আরও পড়ুন: গরম ভাতের সঙ্গে খান ‘মুরগির মাংসের ভর্তা’
রাহীর এ অর্জনে সব সময় তার পরিবার অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে। তার সফলতা ও ব্যর্থতায় সাহস জুগিয়েছেন তার মা। তিনি বিশ্বাস করেন, সফল হওয়ার একমাত্র মন্ত্র পরিশ্রম ও পরিবারের অনুপ্রেরণা।
রাহীর ইচ্ছা, সারাদেশে বিনা মূল্যে এ কুলিনারি শিক্ষা পৌঁছে দেবেন। এ জন্য তিনি অনলাইনভিত্তিক শিক্ষামূলক পেজ পরিচালনা শুরু করেছেন। এর মাধ্যমে তিনি নতুন নতুন রেসিপিসহ রান্নার নানা বিষয় তুলে ধরেন।
শেফ পেশায় যারা স্বপ্ন দেখেন; তাদের জন্য কাজ করে যাওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। তার একটিই লক্ষ্য, দেশের রন্ধনশিল্পকে আরও উন্নতির দিকে নিয়ে যাবেন।
এসইউ/জেআইএম