ফুল দিবস আজ

ফুল ভালোবাসেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। কারও প্রতি ভালোবাসা প্রকাশেই যে ফুল সব সময় ব্যবহৃত হয় তা কিন্তু নয়, ঘরের শোভা বাড়াতে, উপহার হিসেবে এমনকি কারও প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশেও ফুল দেওয়া-নেওয়ার রীতি বেশ পুরোনো। হাজার বছর ধরেই ফুলকে সৌন্দর্যের প্রতীক ও আধ্যাত্মিক বস্তু হিসেবে ধরা হয়।
ফুল প্রকৃতির সবচেয়ে বড় উপহার। বিশ্বে ছোট-বড় ও নানা রঙের বিভিন্ন প্রজাতির ফুল আছে। জানলে অবাক হবেন, ফুল আমাদের পরিবেশেও অনেক বড় অবদান রাখে।
আরও পড়ুন: গরমে জাম খেলে শরীরে যা ঘটে
পৃথিবীতে খাদ্য হিসেবে ফুলের মধুর কোনো তুলনা নেই। এমনকি ফুলের মধু এমন একটি খাদ্য যা অনেক বছর পর্যন্ত সংরক্ষণ করে রাখা সম্ভব।
প্রতি বছর ২০ মে বিশ্বজুড়ে পালিত হয় ফুল দিবস। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এদিন ছুটি পালিত হয়। এ দিবস পালনের মূল উদ্দেশ্য ফুল সংরক্ষণ ও বিপন্ন ফুলের প্রজাতিগুলোকে বাঁচাতে সবার সচেতনতা বাড়ানো।
আমরা সবাই ফুলকে ভালোবাসি এর বিস্ময়কর সৌন্দর্য ও সুবাসের কারণে। ফুল রোম্যান্স, ওষুধ, আচার-অনুষ্ঠান ও ধর্মেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
আরও পড়ুন: স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হলে যে রোগের ঝুঁকি বাড়ে
এছাড়া কিছু ফুল আছে যেগুলো নিয়মিত আমাদের খাবারে থাকে! যেমন- ব্রকলি ও ফুলকপি। একইভাবে কিছু ফুল মসলা হিসেবেও ব্যবহৃত হয়, যেমন- ক্রোকাস (বা জাফরান), লবঙ্গ ও ক্যাপার।
আবার কিছু ফুল ভেষজ চা তৈরিতেও ব্যবহৃত হয়। এছা কিছু ফুল রূপক অর্থেও ব্যবহৃত হয়। যেমন- লাল গোলাপ প্রেমের প্রতীক, মৃত্যুর পপি, কবরের আইরিস ও লিলি এবং নির্দোষতার ডেইজি।
শুধু ফুলকে ভালোবাসলেই হবে না, ফুলের পরিচর্যা করা উচিত সবারই। কিছু ফুল ছায়ায় থাকতে পছন্দ করে, অন্যদের সূর্যালোক প্রয়োজন। তবুও অন্যরা স্যাঁতসেঁতে মাটিতে বেড়ে ওঠে।
আরও পড়ুন: প্রেমিকা আপনাকে সত্যিই ভালোবাসে কি না বুঝবেন যেভাবে
ফুল অনেক রকমের হয়। ফুলের প্রকারভেদ নির্ভর করে তাদের আকার-আকৃতি ও রঙের সংমিশ্রনের উপর তাদের প্রতিটির নিজস্ব নাম ও শ্রেণি থাকে। প্রতিসাম্যর উপর ভিত্তি করে ফুল ৩ প্রকার, যেমন-
১. বহুপ্রতিসম- যে ফুল খাড়াভাবে কেন্দ্র বরাবর কাটলে একবারের অধিক সমান দুটো অংশে বিভক্ত হয়। যেমন- সরিষা ও জবা।
২. একপ্রতিসম- যে ফুল খাড়াভাবে কাটলে মাত্র একবার দুটি সমান অংশে বিভক্ত হয়। যেমন- শিম ও অপরাজিতা ফুল।
৩. অপ্রতিসম- যে ফুল খাড়াভাবে কেন্দ্র বরাবর কাটলে কখনো দুটো সমান অংশে বিভক্ত করা যায় না। যেমন- কলাবতী ফুল।
আরও পড়ুন: পাকা ও মিষ্টি লিচু বেছে কিনবেন যেভাবে
ফুল সম্পর্কিত আকর্ষণীয় কিছু তথ্য
>> ২৫০০ খ্রিষ্টপূর্বে (যিশুখ্রিস্টের জন্মের আগে) প্রাচীন মিশরীয়রা ফুলের বিন্যাসে পেশাদার হয়ে ওঠে।
>> ৭৭৬ খ্রিষ্টপূর্বে (যিশুখ্রিস্টের জন্মের আগে) অলিম্পিকের সময় বিজয়ীদের বোনা মালা ও পুষ্পস্তবক প্রদান করা হয়।
>> ১০০০ খ্রিস্টাব্দে ইউরোপে প্রথম গির্জা ও মঠগুলো ফুল দিয়ে সাজানো শুরু হয়।
>> ১৪০০ খ্রিস্টাব্দ থেকে রেনেসাঁ শিল্পে ফুল একটি সাধারণ মোটিফ হয়ে ওঠে।
সূত্র: ন্যাশনালটুডে
জেএমএস/জেআইএম