পাখি পোষার খুঁটিনাটি

লাইফস্টাইল ডেস্ক
লাইফস্টাইল ডেস্ক লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬:১৩ পিএম, ২১ মার্চ ২০২৪

ধরুন, আপনার মনটা ভীষণ খারাপ। কারো সাথে কথা বলতে চাইছে না মন। বিষণ্ণতায় কাটছে সময়। তখন সুরেলা কিচির-মিচির শব্দ আপনার মনকে কিন্তু উৎফুল্ল করে তুলতে পারে মুহূর্তেই। না-বলা অনেক কথা, অনেক অনুভূতি থাকে, যা কোনো মানুষের সাথে শেয়ার করতে না পারলেও সহজেই শেয়ার করা যায় আদরের পোষা পাখিটির সঙ্গে।

ধীরে ধীরে হৃদ্যতার সম্পর্ক তৈরি হয় অপূর্ব এই প্রাণীটির সঙ্গে। অনেক পাখিপ্রেমী আছেন, যারা খুব শখ করে তাদের পোষা পাখির সুন্দর একটা নাম দেন। সেই নামেই সবসময় ডাকার কারণে পাখিটিও অভ্যস্ত হয়ে ওঠে এবং মনিবের ডাকে সাড়া দেয়। সব মিলিয়ে পাখি পোষা এক আনন্দময় অভিজ্ঞতা।

নানাজনে নানান পাখি পোষে। কেউ কেউ দেশি পাখি পুষতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। এই যেমন- ময়না, টিয়া, শ্যামা, শালিক, ঘুঘু, দোয়েল, ফিঙে ইত্যাদি। আবার অনেকেই আছেন বিদেশি পাখি পুষতেই পছন্দ করেন। যেমন- বাজরিগর, ককাটিয়েল, কাকাতুয়া, তোতা, লাভ বার্ড, ফিঞ্চ, লরিকিট, ম্যাকাও ইত্যাদি।

কিন্তু পাখি কোথায় রেখে পুষবেন? ছাদ, বারান্দা নাকি ঘরের ভেতরে? সেটা যেখানেই হোক, পাখিটিকে ভালো করে রাখতে গেলে প্রয়োজন সুন্দর, পরিচ্ছন্ন ও পর্যাপ্ত জায়গাসম্পন্ন একটি খাঁচা। পাখির আকারের সাথে সামঞ্জস্য রেখেই কিন্তু খাঁচা নির্বাচন করতে হবে। খাঁচাটিকে এমন জায়গায় রাখতে হবে যেন পাখিটি পর্যাপ্ত আলো-বাতাস পায়। অতিরিক্ত রোদ ও ঝড়-বৃষ্টি থেকে যেন নিরাপদে থাকে, সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।

অনেকেই পোষা পাখির জন্য খাঁচা তৈরি করে থাকেন। আবার কেউ কেউ বাজার থেকে রেডিমেড খাঁচা কিনে নেন। খাঁচা তৈরি বা কেনার আগে এর ম্যাটেরিয়াল সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিতে হবে। টেকসই কি না, পাখির জন্য আরামদায়ক কি না এই ব্যাপারগুলো লক্ষ্য রাখতে হবে। আবার খাঁচার ফাঁকগুলো যেন বেশি বড় না হয় সেদিকটা খেয়াল রাখাও জরুরি।

পাখির খাঁচা বানানোটা যেমন বেশ ঝক্কি-ঝামেলার ব্যাপার, তেমনি বাজারে যে রেডিমেড পাখির খাঁচাগুলো পাওয়া যায়, সেখান থেকে ভালো মানের খাঁচা বুঝে শুনে কেনাটাও কিন্তু বেশ চ্যালেঞ্জিং। এই সমস্যার এক চমৎকার সমাধান নিয়ে এসেছে সবার প্রিয় আরএফএল।

পাখি পোষার খুঁটিনাটি

বাজারে এসেছে দৃষ্টিনন্দন আরএফএল পাখির খাঁচা। অত্যন্ত পোক্ত এই খাঁচা উন্নতমানের এবিএস ম্যাটেরিয়ালে তৈরি। দীর্ঘস্থায়ী এই খাঁচা আপনার পোষা পাখিকে অন্য কোনো ক্ষতিকর প্রাণীর আক্রমণ থেকে রাখবে শতভাগ নিরাপদ। এই খাঁচায় রয়েছে ডোর লক সিস্টেম। তাই পাখি বের হয়ে যাওয়া নিয়ে আপনি থাকতে পারেন আশঙ্কামুক্ত।

আরএফএল পাখির খাঁচা রাখার জায়গা নিয়ে আপনাকে তেমন বেগ পেতে হবে না। শক্ত সারফেসে যেমন রাখতে পারবেন, তেমনি সুবিধাজনক জায়গায় ঝুলিয়েও দিতে পারবেন। কেননা এতে রয়েছে ঝুলিয়ে রাখার শক্ত আংটা। খাঁচার নিচের অংশে আলাদা সলিড ট্রে দেওয়া আছে। পড়ে থাকা পাখির খাবার ও বর্জ্য পরিষ্কারের জন্য শুধু ট্রে বের করে এনে পরিষ্কার করে নিলেই হয়ে যাবে।

অনেকদিন ধরে পাখি পুষছেন কিংবা নতুন শখ হয়েছে পাখি পোষার, এমন সব মানুষদের নিরাপদে পাখি পোষার জন্য সঠিক পছন্দ হতে পারে আরএফএল পাখির খাঁচা। পোষা পাখি এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিরাপদে নেওয়ার ক্ষেত্রে এই পাখির খাঁচা শতভাগ নিরাপদ বাহক হিসেবে কাজ করবে। খাঁচাটির ডিজাইন অত্যন্ত দৃষ্টিনন্দন হওয়ায় আপনি চাইলে এটাকে আপনার বাসায় ডেকোরেটিভ টুল হিসেবেও সহজেই ব্যবহার করতে পারবেন। এছাড়াও ওয়েডিং ফটোগ্রাফিতে প্রপ হিসেবেও চমৎকার মানিয়ে যাবে এই আরএফএল পাখির খাঁচা।

সৌখিন পাখিপ্রেমী মানুষদের জন্য অত্যন্ত উপযোগী এই পণ্যটি সত্যিই মনোমুগ্ধকর। তাই আদরের পাখিগুলো নিরাপদে থাকুক আরএফএল পাখির খাঁচায়।

এমআরএম/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।