হ্যালুসিনেশন হলে যা করবেন
আপাতদৃষ্টিতে অস্বাভাবিক মনে হলেও হ্যালুসিনেশন অস্বাভাবিক কোনো অসুখ নয়। মস্তিষ্কের ক্রিয়াতে আমূল পরিবর্তন হলেই হ্যালুসিনেশন হয়। যেমন- শিশু-কিশোরদের তীব্র জ্বরে মস্তিষ্কের পরিপাকজনিত পরিবেশ পরিবর্তনের কারণে ঐ সময়ে হ্যালুসিনেশন হতে পারে। মনোবিকারজনিত মানসিক সমস্যায় হ্যালুসিনেশন হয়ে থাকে। তবে বিভিন্ন ওষুধ সেবনে সাইকোসিস বা মনোবিকারে যে ধরনের হ্যালুসিনেশন হয় তা দূর করা সম্ভব।
কিডনি ও লিভার বিকল হলে পুরো শরীরের বিপাকজনিত নানা পরিবর্তন হয়ে থাকে। এইসব পরিবর্তন হ্যালুসিনেশন সৃষ্টি করতে পারে। বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ যেমন- মারিজুয়ানা, সাইলোকাইবিন, এলএসসি, আফিম ইত্যাদি মারাত্মকভাবে হ্যালুসিনেশন সৃষ্টি করতে পারে। কোনো ওষুধ হঠাৎ ছেড়ে দিলে বিপাক ধীরগতি হয়, যাতে কিনা হ্যালুসিনেশন ত্বরান্বিত হয়।
কারণ :
১. প্রিয় মানুষের সম্প্রতি মৃত্যু(এই ধরনের হ্যালুসিনেশনে সেই মানুষটির নানা শব্দ কানে আসে বা কখনো তাকে দেখা যেতে পারে)।
২. পোস্টট্রমাটিক বা আঘাত পরবর্তী ট্রেস ডিসঅর্ডার।
৩. ড্রাগের সাথে সম্পর্কিত পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া।
৪. এলএসডি, পিওট, মাশরুমস, সাইলোকাইবিন, আফিম সেবন।
৫. অ্যালকোহলের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া।
৬. অ্যালকোহল পরিহারকালীন সময়ে।
৭. সাইকোসিস বা মনোবিকার।
৮. স্মৃতিভ্রংশতা
করণীয় :
১. যে হ্যালুসিনেশন প্রিয়জন হারানোর সঙ্গে সম্পর্কিত বা কোনো ধরনের আঘাতজনিত কারণের সাথে সম্পর্কিত এগুলো আপনাআপনিই বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
২. অ্যালকোহল বা স্ট্রিট ড্রাগ সেবনজনিত কারণে যদি হ্যালুসিনেশন হয়ে থাকে তবে এগুলো সেবন পরিহার করুন এবং সাইকিয়াট্রিস্ট সেবা নিন।
৩. ঘুমানোর সঙ্গে সঙ্গে বা ঘুম থেকে জেগে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে যদি হ্যালুসিনেশন হয়ে থাকে তবে চিকিৎসার তেমন কোন দরকার নেই।
৪. হ্যালুসিনেশনের যদি কোনো সুনির্দিষ্ট কারণ না থাকে তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
এইচএন/এমএস