শ্রাবণী রাণী সরকারের কবিতা: জীবনের ছোবল
অভিমান গিলে গিলে পেটে বদহজম হয়েছে সেই কবে
চোখের জলকে গলা টিপে হত্যা করেছিলাম বহুকাল আগেই
কলঙ্কিত হৃদয়ের আহাজারি আজকাল আর পাত্তা দিই না
জমানো পুরোনো-নতুন ব্যথাগুলোকে মালা বানিয়ে
গলায় ঝুলিয়ে রেখেছি বাবুদের টাইয়ের মতন সাজিয়ে।
মানুষের সঙ্গ ছেড়ে আমি একাকিত্বকে বরণ করেছি
বিষাদের সিন্ধুরা বছরের পর বছর ঘুমে কাতর হয়ে আছে
যেদিন শুনেছিলাম কাউকে বিশ্বাস করা বোকামি
একদম চুপ হয়ে গেছি! আমি যেন কোনো পাথুরে মূর্তিই।
প্রতারণার ঝালে বিদ্ধ অপঘাতে মরণাপন্ন আত্মার মৃত্যুর
পোস্টমর্টেম করে জানা গেছে মানুষের ঠকে যাওয়া ভালোবাসার কান্না।
তারা আর ভালোবাসেনি পৃথিবীর কাউকে
অমৃতের মাঝে গরল খুঁজে অকারণে
চালাকের বাজারে আমাকে যারা চড়া দামে বিক্রি করেছিল
তাদের আশির্বাদ করি সর্বদা প্রফুল্লচিত্তে;
বুকে জমানো কাটা দাগগুলো কতবার সেলাইয়ের বৃথাই চেষ্টা করেছি
ডাক্তার বলেছিল ওখানে দগদগে ঘা হয়েছে—
শুকোতে কিছুদিন সময় লাগবে
কবে হবে সে সময় মাস, বছর নাকি যুগ পরে?
কে করবে অন্যায়কারীর মুণ্ডু ছেদন
যে পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র আমাকে একঘরে করেছিল
সেখান থেকে আমিও মুখ ফিরিয়ে নিয়েছি
জটিল যান্ত্রিক পরিবেশ আমাকে দুঃখ ছাড়া কিছুই দেয়নি।
এসইউ/এমএস