অর্থের অভাবে সংস্কার হচ্ছে না ফররুখ আহমদের পৈতৃক ভিটা
আজ ১৯ অক্টোবর। কবি ফররুখ আহমদের ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৭৪ সালের এই দিনে কবি মৃত্যুবরণ করেন।
এদিকে, যথাযথ উদ্যোগ না থাকায় সংরক্ষণ করা সম্ভব হচ্ছে না মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার মাঝাইল গ্রামে অবস্থিত কবি ফররুখ আহমদের পৈতৃক বাড়িটি। ১৯১৮ সালের ১০ জুন এখানে জন্মেছিলেন মানবতার কবি ফররুখ আহমেদ।
তার লেখা সাত সাগরের মাঝি, সিরাজুম মুনীর, নৌফেল ও হাতেম, মুহূর্তের কবিতা, পাখির বাসা, হাতেম তায়ী, নতুন লেখা, হরফের ছড়া, ছড়ার আসর প্রভৃতি বইয়ের অনেক কবিতাই সরকারি পাঠ্যপুস্তকে গুরুত্বের সঙ্গে স্থান পেয়েছে।
দেশের স্বনামধন্য কবিদের মধ্যে তিনি একজন। কিন্তু এই মহান কবির গ্রামের বাড়ির স্মৃতি সংরক্ষণের জন্য কোনো বিশেষ উদ্যোগ নেয়া হয়নি। এমনকি জেলা শহরে তার নামে কোনো প্রতিষ্ঠান কিংবা সড়কের নামকরণ পর্যন্ত করা হয়নি। গড়ে তোলা হয়নি কোনো পাঠাগার।
ফররুখ আহমেদের ছোট ভাই যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ মারুফ আহমেদ (মাক্কুভাঈ) জাগো নিউজকে জানান, অনেক কষ্টে গ্রামের বাড়িতে থাকা ভাঙাচোরা ঘরগুলো আঁকড়ে বেঁচে আছেন তিনি।
এছাড়া আর্থিক স্বচ্ছলতা না থাকায় তিনি ঘরগুলো সংস্কার করতে পারছেন না। পাশাপাশি কবির ব্যবহার্য জিনিসপত্রগুলো যথাযথভাবে সংরক্ষণ করা সম্ভব হচ্ছে না। একই কারণে প্রকাশ করা সম্ভব হচ্ছে না কবি ফররুখ আহমদের অপ্রকাশিত বেশ কিছু পাণ্ডুলিপি।
এলাকাবাসী জানায়, কবির ভক্ত ও দর্শণার্থীদের বাড়িতে ঢোকার জন্য নেই কোনো রাস্তা। অন্যের বাড়ির উপর দিয়ে যেতে হয় তার (কবির) বাড়িটিতে। ফররুখ আহমদের গ্রামটি চিহ্নিত করে রাখার জন্য প্রায় ৫ বছর আগে জেলা পরিষদের উদ্যোগে গ্রামে ঢোকার মুখে একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়। কিন্তু সেটি এখন ভগ্নপ্রায়।
বাংলা একডেমি, ইউনেস্কো, আদমজী, স্বাধীনতা ও একুশে পদকে ভূষিত এ কবির স্মৃতি রক্ষার্থে তার বাড়িটি সংরক্ষণের পাশাপাশি তার নামে একটি পাঠাগার ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা আহ্বান জানান এলাকাবাসী ও দর্শণার্থীরা।
আরাফাত হোসেন/এসএস/পিআর