ভিডিও EN
  1. Home/
  2. লাইফস্টাইল

কর্মক্ষেত্রে কমিউনিকেশন স্কিল বাড়ানোর উপায়

লাইফস্টাইল ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৬:৪৪ পিএম, ১৯ অক্টোবর ২০২৫

আমাদের কথা বলার ধরণ ব্যক্তি জীবন ও পেশাদার জীবনে অনেক প্রভাব ফেলে। দৈনন্দিন জীবনের প্রতিটি সম্পর্ক কথা বলা বা যোগাযোগের মাধ্যমে গড়ে ওঠে। তাই আমাদের ব্যস্ত জীবনযাত্রায় শুধু কাজে দক্ষ হওয়াই যথেষ্ট নয়, এর সঙ্গে প্রয়োজন যোগাযোগে বা কথা বলায় দক্ষতা।

কর্মক্ষেত্রে সুন্দরভাবে যোগাযোগ করতে পারার এই গুণটিকেই আমরা কমিউনিকেশন স্কিল হিসেবে চিনি। এটি আমাদের সহকর্মীর সঙ্গে সম্পর্ক থেকে শুরু করে পদোন্নতি পর্যন্ত সব ধাপেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই কর্মক্ষেত্রে কথা বলার আগে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে-

১. শোনার অভ্যাস করা

ভালো কমিউনিকেশন মানেই শুধু কথা বলা নয়। এটি হলো সক্রিয়ভাবে শোনা এবং বোঝা। কখন কথা বলবেন আর কখন শুনবেন, সেটা বুঝে নিতে হবে। অনেকেই অতিরিক্ত কথা বলতে ভালোবাসেন। তাই মনে রাখুন কথোপকথনের সময়ে অপরপাশের মানুষটির কথা শোনাও জরুরি।

২. বলার আগে ভেবে নেওয়া

অনেকেই তাড়াহুড়া করে মত প্রকাশ করে ফেলেন। অফিসের মিটিংয়ে কিছু না ভেবে মত দেওয়া অনেক সময় ভুল বোঝাবুঝি বা সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই নিজের মতামত জানানোর আগে একবার শান্ত মনে ভালো করে ভেবে নিতে হবে। এতে করে যে কোনো ভুল বোঝাবুঝির এড়ানো যায়।

৩. সহজ ভাষায় কথা বলা

আমরা সবাই চাই অন্যরা আমাদের কথার মানে সহজে বুঝুক। কিন্তু অনেক সময় জটিল শব্দ বা অপ্রয়োজনীয় বাক্য ব্যবহার করলে সহকর্মীরা ভুল বোঝে বা মনোযোগ হারায়। তাই সহজ, সাবলীল ভাষা ব্যবহার করা খুব জরুরি। সেই সঙ্গে অফিসে অযৌক্তিক কথা বলা থেকে বিরত থাকুন।

৪. ইঙ্গিতের অর্থ বোঝা

মুখে না বলে আকার-ইঙ্গিতেও অনেক কিছু বোঝানো যায়। অনেক সময় এমন পরিস্থিতিতে থাকে যে সরাসরি কিছু না বলে, অনেক কিছু বুঝতে হয়। মুখে থাকা এক্সপ্রেশন, চোখের দৃষ্টি, হাসি বা ভ্রু ভাঁজ-সবই এক ধরনের ইঙ্গিত। হাতের নড়াচড়া, শরীরের ভঙ্গি, চলার ধরণ থেকেও বোঝা যায় মানুষের ভাবনা বা অনুভূতি। তাই সহকর্মী কিংবা বসের ইঙ্গিত বুঝতে হলে ভালো করে পর্যবেক্ষণ করার চর্চা করুন।

৫. বাচনভঙ্গির খেয়াল রাখা

আমাদের দৈনন্দিন জীবনে কথার ভঙ্গি, টোন ও কণ্ঠস্বর অনেক বড় ভূমিকা রাখে। এটি শুধু কথার প্রকাশ নয়, অন্যদের সঙ্গে সম্পর্ক গঠনেরও একটি শক্তিশালী হাতিয়ার। তবে এটি সব ক্ষেত্রে একরকম হওয়া উচিত নয়। যেমন, পরিবারের সঙ্গে আপনি যেমন হালকা ভঙ্গিতে ও খোলামনে কথা বলেন, অফিসে তা মানানসই না। এমনকি সেটি অপ্রাসঙ্গিক বা অশোভনও মনে হতে পারে।

৬. ধৈর্য ধরে ধারাবাহিক চেষ্টা করা

স্কিল রাতারাতি আসবে না। প্রতিদিন কিছু না কিছু বলার বা শোনার অভ্যাস তৈরি করতে হবে। ছোট প্রচেষ্টা ধীরে ধীরে বড় পরিবর্তন আনবে।

আপনার কথা যতটা গুরুত্বপূর্ণ, আপনার প্রকাশভঙ্গিও ততটাই গুরুত্বপূর্ণ। তাই চেষ্টা করুন, শিখুন এবং ধৈর্য ধরুন।

সূত্র: হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউ, সাইকোলজি টুডে, ভেরি ওয়েল মাইন্ড, ফোর্বস কমিউনিকেশনস কাউন্সিল

আরও পড়ুন:
ব্যর্থতায় ভেঙে পড়লেও উঠে দাঁড়ানোর উপায় আছে 
অন্যের সাফল্যে খারাপ লাগা সবসময় হিংসা নয় 

এসএকেওয়াই/এএমপি/জিকেএস

আরও পড়ুন