সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিককে হত্যার হুমকি, প্রতিবাদে মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:৪৬ এএম, ১৪ মে ২০২৫
সাংবাদিককে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে মানববন্ধন করেন উত্তরা প্রেস ক্লাবের সদস্যরা

রাজধানীর দক্ষিণখানের নাহিদ ইসলামের পাথর সরবরাহের ব্যবসা দখলের প্রতিবাদে মানববন্ধনের সংবাদ প্রকাশ করায় এক সাংবাদিককে হত্যার হুমকির অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী সাংবাদিক বদরুল আলম মজুমদারের অভিযোগ, স্থানীয় বিএনপি নেতা আল-আমিন সরকার ওরফে শামীম আল-মামুন তাকে হুমকি দিয়েছেন।

সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিককে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন রাজধানীর উত্তরা প্রেস ক্লাবের সদস্যরা। মঙ্গলবার (১৩ মে) বিকেল ৫টার দিকে উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টরের খালপাড়ে অবস্থিত উত্তরা প্রেস ক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তারা অভিযুক্ত বিএনপি নেতা আল আমিন সরকার ও তার ভাই মইম সরকারকে দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।

বিজ্ঞাপন

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সম্প্রতি দক্ষিণখানের ফায়দাবাদ এলাকায় বিএনপি নেতা আল-আমিন সরকারের বিরুদ্ধে নাহিদ নামের এক প্রতিবন্ধী যুবক তার পরিচালিত ইট-পাথরের ব্যবসা দখলের অভিযোগ তুলে মানববন্ধন করেন। এ নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকা ও অনলাইন মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশ হয়।

সংবাদটি ফেসবুকে শেয়ার দেন উত্তরা প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি বদরুল আলম মজুমদার। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ওই সাংবাদিককে ‌‘মেরে ফেলা হবে’ উল্লেখ করে অডিওবার্তা পাঠান আল-আমিন সরকার ও তার অনুসারীরা।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

সাংবাদিক বদরুল আলম মজুমদার বলেন, ‌গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ ফেসবুকে শেয়ার দেওয়ার কারণে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছেন আল-আমিন। জুলাই আন্দোলনে ভূমিকা রাখায় ফ্যাসিস্ট হাসিনার পুলিশ আমাকে উত্তরা থেকে ধরে নিয়ে গিয়েছিল। অথচ মাদক ব্যবসায়ীরা এখন আমাকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানান বিভ্রান্তিমূলক তথ্য ছড়াচ্ছে। যা অত্যন্ত দুঃখজনক।

জাগোনিউজের খবর পেতে ফলো করুন

মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন উত্তরা প্রেস ক্লাবের সভাপতি এ কে আজাদ, সাধারণ সম্পাদক মো. আরিফুল ইসলাম প্রমুখ। এতে সংবাদকর্মীসহ স্থানীয় বাসিন্দারাও অংশ নেন।

এএএইচ/কেএসআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।