ছাত্রদলের সমাবেশে সাংবাদিক হেনস্তার অভিযোগ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:২৫ পিএম, ০১ জানুয়ারি ২০২৩

নয়াপল্টনে ছাত্রদলের সমাবেশে সাংবাদিক হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে। ছাত্রদল নেতাকর্মীদের একটি অংশ এ ঘটনা ঘটায়।

রোববার (১ জানুয়ারি) বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত সমাবেশে হেনস্তার ওই অভিযোগ ওঠে।

জানা যায়, ছাত্রদলের সমাবেশ কভার করতে যান বেসরকারি টেলিভিশন মাই টিভির সিনিয়র রিপোর্টার ইউসুফ আলী। এসময় ট্রাইপড রাখা নিয়ে সমাবেশে আগত ছাত্রদল নেতাকর্মীদের সঙ্গে তার বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ইউসুফ আলীকে মারধর করেন। পরে বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির বিশেষ সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপন, ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ ও অন্য গণমাধ্যমকর্মীরা পরিস্থিতি শান্ত করেন।

এ বিষয়ে সাংবাদিক ইউসুফ আলী বলেন, আমি ট্রাইপড রাখলে ছাত্রদলের একজন ট্রাইপড ধাক্কা মেরে ফেলে দেন। কেন ফেলে দিলেন জানতে চাইলে, কালো কোট ও ক্যাপ পরা একজন কোনো কিছু না বলেই আক্রমণ করেন।

অভিযুক্ত দুইজন

তিনি আরও বলেন, এমন কথায় কেউ কারও ওপর আক্রমণ করতে পারে! আমার এক হাতে ট্রাইপড অন্য হাতে মাইক্রোফোন। মারামারি করতে হলে তো দু-একটি কথা কাটাকাটি হয় তা-ও হলো না। অথচ পাঁচ থেকে ছয়জন পেছন থেকে আক্রমণ চালায়। বিএনপির নিউজ কভার করতে গেলে যদি দলের লোকজন বাধা হয়ে দাঁড়ায় তাহলে মনকে কী বোঝাবো।

এসময় সেখান উপস্থিত ছিলেন মোহনা টিভির সিনিয়র রিপোর্টার হুমায়ুন কবির। তিনি বলেন, ছাত্রদলের ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আগের মতো সুষ্ঠু-সুন্দর পরিবেশ ছিল না। সাংবাদিকদের নিদিষ্ট স্থানে নেতাকর্মীরা বসে ও দাঁড়িয়ে ছিলেন। তাদের সরে যেতে বললে তারা উল্টো আমাদের ওপর চড়া হন। সংবাদ সংগ্রহে সুন্দর পরিবেশ না থাকলে নিউজ করাও কষ্টকর। আজ আমার সামনে ট্রাইপড রাখা নিয়ে সাংবাদিক ইউসুফ আলীর ওপর যে আক্রমণ করা হয়েছে, আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আশা করি সামনের দিনগুলোতে বিএনপির সমাবেশে এ ধরনের ঘটনা পুনরাবৃত্তি হবে না।

এদিকে এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির বলেছেন, এ ঘটনায় যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কেএইচ/আরএডি/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।