গুলিস্তানে জমজমাট টুপির বেচাকেনা

রায়হান আহমেদ
রায়হান আহমেদ রায়হান আহমেদ , নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:৩০ পিএম, ২৭ মার্চ ২০২৫

বছর ঘুরে আবারও দুয়ারে কড়া নাড়ছে ঈদুল ফিতর। মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ এ ধর্মীয় উৎসব ঘিরে কেনাকাটা আর প্রস্তুতির শেষ নেই। সারা মাস রোজা রাখার পর খুশির ঈদে বিভিন্ন মার্কেট ও শপিংমলের পাশাপাশি কেনাকাটার ধুম পড়ে টুপি আর আতরের দোকানেও। এবছরও তার ব্যতিক্রম নয়।

বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) সরেজমিনে রাজধানীর গুলিস্তান এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, টুপির দোকানগুলোতে জমজমাট বেচাকেনা চলছে। পাকিস্তানি, আফগানি, গুজরাটিসহ বাহারি ডিজাইনের টুপি কিনতে ভিড় করেছেন ক্রেতারা।

গুলিস্তানে পীর ইয়েমেনি মার্কেটের সামনের রাস্তায় টুপি বেচাকেনা চলছিল হরদম। সেখানকার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবারের ঈদে পাকিস্তানি, আফগানি, চাইনিজ, এমনকি দেশীয় হাতের কাজ করা টুপির চাহিদা বেশি।

বছর ঘুরে আবারও দুয়ারে কড়া নাড়ছে ঈদুল ফিতর। মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ এ ধর্মীয় উৎসব ঘিরে কেনাকাটা আর প্রস্তুতির শেষ নেই

তারা জানিয়েছেন, পাকিস্তানি টুপি পাওয়া যাচ্ছে ৩৫০ থেকে ১০০০ টাকায়, আফগানি টুপি ১৫০ থেকে ৫০০ টাকায়, ভারতীয় টুপি ৪০০ থেকে ১২০০ টাকায়, গুজরাটি টুপি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকার মধ্যে। এছাড়া দেশীয় হাতে তৈরি কাঁথা ও নকশিকাঁথার টুপি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ৫০০ টাকায়। জালি টুপি পাওয়া যাচ্ছে ২০ থেকে ২৫০ টাকায়।

পীর ইয়েমেনী মার্কেটের টুপি বিক্রেতা মো. রোহান জাগো নিউজকে বলেন, ‘ব্যবসা ভালোই হচ্ছে। ধীরে ধীরে ক্রেতা কমে যাচ্ছে। অনেকে কেনাকাটা শেষ করে এরই মধ্যে গ্রামে চলে গেছে। এখন যারা টুপি কিনছেন তাদের বেশিরভাগই ঢাকার স্থানীয় বাসিন্দা বা ঢাকায় ঈদ করবেন।’

আরেক বিক্রেতা শরিফুল বলেন, ‘আমাদের এই দোকানগুলোতে মোটামুটি কম দামে টুপি পাওয়া যায়। পাকিস্তানি টুপির চাহিদা সবচেয়ে বেশি। অন্যান্য টুপির তুলনায় এটির দামও একটু বেশি। তরুণদের আগ্রহ বেশি পাকিস্তানি টুপিতে। জালি টুপির বেচাকেনাও ভালোই।’

বছর ঘুরে আবারও দুয়ারে কড়া নাড়ছে ঈদুল ফিতর। মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ এ ধর্মীয় উৎসব ঘিরে কেনাকাটা আর প্রস্তুতির শেষ নেই

‘মাদরাসার অনেক শিক্ষার্থী আসে টুপি কিনতে। তারা দেশীয় সাদা টুপি পছন্দ করেন। আবার কওমি ও সুন্নি মাদরাসার অনেক শিক্ষার্থী আফগানি টুপি কিনেন’- বলেন এ দোকানি।

গুলিস্তানে টুপির দোকানে কথা হয় সাব্বির রহমান নামে এক ক্রেতার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘প্রতি বছর ঈদের নামাজের জন্য নতুন টুপি কিনি। নতুন পাঞ্জাবির সঙ্গে পুরোনো টুপি ভালো দেখায় না। এবার একটি পাকিস্তানি টুপি নিয়েছি। ছোট ভাইয়ের জন্যও নিয়েছি। মার্কেটের চেয়ে এখানে তুলনামূলক টুপির দাম কম।’

সেখানকার বিভিন্ন দোকান ঘুরে দেখা গেছে, টুপির পাশাপাশি ঈদের নামাজের জন্য আতর ও জায়নামাজের বাজারও বেশ জমজমাট। অনেকেই পরিবার-পরিজনের জন্য একসঙ্গে একাধিক টুপি, সঙ্গে আতর আর জায়নামাজ কিনছেন।

আরএএস/এমকেআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।